Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
বরো-৮

মোদী-ম্যাজিক সরিয়ে কি ঘুরে দাঁড়াবে তৃণমূল

লোকসভা ভোটে মোদী হাওয়ায় ওলটপালট হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি ওয়ার্ড। যার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুরেও পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে পিছিয়ে পড়া অস্বস্তিতে ফেলেছিল তৃণমূলের পুরো টিমকে।

অনুপ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৩৫
Share: Save:

লোকসভা ভোটে মোদী হাওয়ায় ওলটপালট হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি ওয়ার্ড। যার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুরেও পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে পিছিয়ে পড়া অস্বস্তিতে ফেলেছিল তৃণমূলের পুরো টিমকে। কারণ খুঁজতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের প্রায় সব নেতাই। বদল আনা হয় জেলা নেতৃত্বেও। দক্ষিণ কলকাতার দু’টি বরোর কয়েকটি ওয়ার্ডের সেই চিত্র এখনও বহাল, নাকি সে সব ধুয়েমুছে ফের এগিয়ে তৃণমূল— সেই তরজা নিয়েই জমে উঠেছে মহানগরের ৮ নম্বর বরোর মহাযুদ্ধ।

গত পুরভোটে এই বরোর ১১টি ওয়ার্ডের ১০টিতেই জিতেছিল তৃণমূল। একমাত্র ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে শিবরাত্রির সলতের মতো জ্বলছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর মালা রায়। ভোটের আগে দলবল নিয়ে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন মালা। তাই এই বরো এ বার বিরোধী শূন্য করতে তৎপর তৃণমূল। যা নিয়ে তৃণমূলের প্রবীণ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের টিপ্পনী, ‘‘ভোট হওয়ার আগেই তো দেখছি ময়দান ফাঁকা। বিরোধীদের খুঁজেই পাচ্ছি না।’’ শুধু তৃণমূল নয়, বাম এবং কংগ্রেস শিবিরের একাধিক প্রবীণ নেতার কথায়, এ বারের মতো একপেশে ভোট অতীতে কখনও হয়নি। পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধীরা লড়াইয়ে পিছিয়ে।

‘‘কে বলছেন বিরোধী নেই?’’— হুঙ্কার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অসীম বসুর। গত পুরভোটেও অসীমবাবু কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। পরাজিত হন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কলকাতা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দবাবু এ বারও তৃণমূলের প্রার্থী। এলাকায় সজ্জন মানুষ বলেই পরিচিত। তা মানেন অসীমবাবুও। লোকসভা ভোটে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। ওই ফল সচ্চিদানন্দবাবুকেও চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। যদিও মোদী হাওয়ার ছিটেফোঁটাও এখন আর নেই, দাবি করছেন সচ্চিদানন্দবাবু। বললেন, ‘‘পুর পরিষেবার নিরিখেই পুরভোট হয়। সেখানে তৃণমূল বোর্ড সফল। গত ৫ বছরে যা কাজ হয়েছে, তা এলাকাবাসী দেখেছেন।’’

অসীমবাবুর অবশ্য অভিযোগ, জল সরবরাহ হলেও কিছু এলাকায় তা প্রয়োজনের তুলনায় কম, দৈনিক জঞ্জাল অপসারণেও ততটা নজর নেই পুর প্রশাসনের। স্থানীয় ব্যবসায়ী অর্জুন সাউয়ের কথায়, ‘‘পুর পরিষেবা নিয়ে লড়াই নেই এখানে। অবাঙালি ভোটের দিকেই নজর বেশি দুই দলের।’’ পরিসংখ্যান বলছে, এই ওয়ার্ডে ৩১ ভাগ গুজরাটি-সহ ৬০ ভাগ অবাঙালির বাস। বিজেপি টগবগ সে কারণেই। প্রচারেও তৃণমূলের সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, ‘‘অবাঙালি ভোট মানেই বিজেপির পক্ষে, এই ধারণা যে ভুল এ বার তার প্রমাণ মিলবে।’’ কংগ্রেস প্রার্থী তপন মিত্র এবং বাম প্রার্থী সুজয় গুহ এখনও এলাকায় দাগ ফেলতে পারেননি।

দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বসু রোড, হাজরা রোড, প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের কিছু অংশ নিয়ে ৭২ নম্বর ওয়ার্ড। লোকসভা ভোটে সেখানেও ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। গত পুরভোটে ৬ হাজার ভোটে জয়ী কৃষ্ণা নন্দীকে এ বার মনোনয়ন দেয়নি দল। বিদায়ী কাউন্সিলরের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মনে কষ্ট হয়েছে। তবে সময় পেলেই দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর ভাই সন্দীপ বক্সীকে এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে দল। তাঁর নাম প্রকাশ হতেই ‘পরিবারতন্ত্রে’র অভিযোগ তোলে বিরোধীদের সঙ্গে দলেরই একাংশ। দল পাশে থাকায় ওই কেন্দ্রে সন্দীপবাবু এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করে তৃণমূল। যদিও বিজেপির প্রার্থী ওমপ্রকাশের বক্তব্য, ‘‘বতর্মান পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তা থেকে পুর প্রশাসনকে মুক্ত করতেই আমাদের লড়াই। পুর পরিষেবায় হয়তো খামতি নেই, তবে তা করতে গিয়ে যে ভাবে অর্থ অপচয় হয়েছে তা নজিরবিহীন।’’ বামপ্রার্থী সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাসের মুখেও পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দা কার্তিক ঘোষের বক্তব্য, ‘‘পুরবোর্ড উন্নয়নের দাবি করলেও এখনও কিছু এলাকায় পানীয় দলের সমস্যা রয়েই গেছে।’’

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ রাজীব দেবের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়। রাজীববাবু দীর্ঘ দিন অসুস্থ। তার উপর ওই কেন্দ্রটি এ বার মহিলা সংরক্ষিত। বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুব্রতবাবুর স্নেহধন্যা সুদর্শনা রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত নন। তবে সাংবাদিকতার পেশায় থাকায় রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। তা হলেও তাঁর নাম প্রকাশ হতেই দলের অভ্যন্তরে কানাঘুষো শুরু হয়। এ ব্যাপারে সুব্রতবাবু জানান, এলাকার সকলেই সুদর্শনাকে সাদরে গ্রহণ করেছে। তিনি নিজেও প্রার্থীকে জেতাতে সদলে নেমে পড়েছেন।

গত লোকসভা ভোটে রাজীববাবুর ওয়ার্ডে ছিল বিজেপির হাওয়া। প্রায় ৮০০ ভোটে এগিয়ে ছিল তারা। ওয়ার্ডে ভোটার প্রায় ২২ হাজার। কার বিরুদ্ধে লড়াই?

প্রার্থী সুদর্শনাকে পাশে বসিয়ে সুব্রতবাবুর জবাব, ‘‘বাজারে তো কাউকে দেখছিই না। ফাঁকা ময়দান।’’ তিনি জানান, এ বারের মতো হাল কোনও পুরভোটে বিরোধী দলের হয়নি। তবে সুব্রতবাবুর বক্তব্য শুনে বিজেপি প্রার্থী মিতালি সাহা বলছেন, ‘‘শাসক দলের গলার জোর তো সব সময়েই বেশি।’’ আর সুদর্শনার কথায়, ‘‘পুর পরিষেবার জন্য রাজীবদা এলাকায় যে সব কাজ করেছেন, তা রক্ষা করাই আমার প্রধান কাজ হবে।’’

৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী, বিদায়ী পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের সঙ্গে লড়াই বিজেপির শশী অগ্নিহোত্রীর। এলাকায় গেলেই নজরে পড়ে তৃণমূলের প্রচারের বহর। বিভিন্ন মোড়ে বড় বড় কাট-আউটে প্রার্থীর ছবি টাঙানো। গত বার শশীদেবী ছিলেন বামপ্রার্থী। তাই তাঁর দল বদল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়। তাতে অবশ্য বিচলিত নন তিনি। বললেন, ‘‘পণ্ডিতিয়া রোড, শরৎ বসু রোডের একাংশে এখনও ভারি এসে জল দেয়।’’ তবে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা সনৎ কর্মকারের বক্তব্য, ‘‘কাজ অনেক হয়েছে। এলাকা সেজেও উঠেছে।’’ অন্য দিকে, নিজের জয় সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘এপ্রিল মাস শুরু হয়ে গেল। এখনও বিরোধীদের দেখতেই পাচ্ছি না।’’ যা শুনে শশীর জবাব, ‘‘বিজেপির ভয়ে চোখ বুজে আছেন। তাই দেখতে পাচ্ছেন না।’’ এখানে বামপ্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘বিরোধীরা চাপা সন্ত্রাস চালাচ্ছে।’’

৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ বার তৃণমূল প্রার্থী কংগ্রেস ছেড়ে আসা মালা রায়। রং পড়লেও এখনও কিছু দেওয়ালে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম মুছে যায়নি। শুধু নিজে নন, দক্ষিণ কলকাতার বেশিরভাগ কংগ্রেস কর্মীকেই মালাদেবী নিয়ে এসেছেন তৃণমূলে। তাই দলের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে অস্তিত্ব সঙ্কটে কংগ্রেসের প্রার্থী কাকলি ঘোষ। পুর পরিষেবার বিষয়ে অভাব-অভিযোগ নিয়ে তত সরব নয় বিরোধীরাও। পরিষেবার নিরিখে তাঁরাও অনেকটা স্বস্তিতে, জানালেন মণ্ডল লেনের বাসিন্দা কানাই কাহার। এই ওয়ার্ডেই কেওড়াতলা মহাশ্মশানের শ্রী নিয়ে গর্বিত পুরবোর্ডও। দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে তা প্রকাশও হয়েছে। এর পরেও বিজেপি প্রার্থী শুক্লা মজুমদার বলছেন, ‘‘এখানে আমরা জোর লড়াই দেব।’’ বসে নেই বামেরাও। তৃণমূলের থেকে বিজেপি যে তাঁদের বড় শত্রু, বোঝাতে চান বাম প্রার্থী সোমা দে।

৮৭ নম্বর ওয়ার্ডেও লোকসভায় হাওয়া তুলেছিল বিজেপি। সে সবই এখন উধাও— দাবি তৃণমূল প্রার্থী তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের। বিদায়ী কাউন্সিলর তনিমা এ বারও প্রার্থী। এলাকার সমস্যা পুরোপুরি সমাধান করতে পেরেছেন? তনিমাদেবীর জবাব, ‘‘তা কখনও করা যায় নাকি? প্রতিদিনই নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয়।’’ লোকসভার ফলের নিরিখে বিজেপি-র সুব্রত ঘোষও জোর কদমে নেমে পড়েছেন। বললেন, ‘‘ভোটারের কাছে মোদী সরকারের স্বচ্ছ প্রশাসন দেওয়ার কথা বলছি।’’

৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ বার প্রার্থী করা হয়নি তৃণমূলের প্রয়াত নেতা গৌতম বসুর স্ত্রী অনিতা বসুকে। তাতে ক্ষুদ্ধ অনিতাদেবীও। তবু বিরোধীরা তা কতটা কাজে লাগাতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী শুকদেব চক্রবর্তী নিজেই আবার বলছেন, ‘‘এখানে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি।’’ কেন? শুকদেবের জবাব, ‘‘পুর পরিষেবায় কিছু সমস্যা তো রয়েছে।’’ বাম প্রার্থী সুশঙ্কর মণ্ডলের কথায়, তৃণমূল ও বিজেপি মুদ্রার এ পিঠ আর ও পিঠ। দুর্নীতি মুক্ত করতেই মানুষ ওঁদের হটাতে চান।’’

সংরক্ষণের কোপে এ বার বাদ পড়েছেন ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘ দিনের কাউন্সিলর, তৃণমূলের দুর্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ওই ওয়ার্ডটি এ বার তফসিলি মহিলা হিসেবে সংরক্ষিত হয়েছে। তা জেনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দুর্গাবাবু। বলেও ফেলেন, ‘‘মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের চক্রান্তে এ সব হয়েছে।’’ সেই ওয়ার্ডে এ বার দলের প্রার্থী সুমা নস্কর। দুর্গাবাবু কি প্রচারে বেরোচ্ছেন? সেই প্রশ্ন এড়িয়ে সুমা বলেন, ‘‘উনি সিনিয়র নেতা। দলে তো আছেনই।’’ মেয়র বনাম দুর্গাবাবুর কলহের কথাই এ বার ওয়ার্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি এবং বাম প্রার্থীরা প্রচারে সেটাই বলে বেড়াচ্ছেন।

মহিলা সংরক্ষণ উঠে যাওয়ায় ৯০ নম্বর ওয়ার্ডে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী চৈতালি চট্টোপাধ্যায় বিদায়ী কাউন্সিলর। বললেন, ‘‘পুর পরিষেবায় সাধ্যমতো কাজ করেছি। তবে কিছু কাজ এখনও বাকি।’’ ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা অঞ্জন কর বলেন, ‘‘পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। জলের চাপ কম।’’ পুর পরিষেবায় খামতি মেটাতে সব রকম ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন বৈশ্বানর। অন্য দিকে বাম প্রার্থী অনুপ গোস্বামীর দাবি, ‘‘গত ৫ বছরে এই এলাকায় তেমন কোনও কাজ হয়নি। ওঁরা বিজ্ঞাপনে এগিয়ে, কাজে নয়।’’

পুরসভার ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর ও পুরভোটের প্রার্থী মঞ্জুশ্রী মজুমদার বলেন, ‘‘প্রতিপক্ষ হিসেবে কাউকেই মনে করছি না। ওয়ার্ডে পুর-পরিষেবার কাজ হয়েছে। গঙ্গার ধার সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ বিজেপি প্রার্থী তুষারকান্তি ঘোষ মনে করেন, বেশ কিছু এলাকায় জঞ্জাল জমে থাকে। সে দিকে নজর নেই পুর প্রশাসনের।

৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পারমিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুর-পরিষেবার কাজ সবই হয়েছে। তবে জল সরবরাহের বাড়তি চাহিদা থাকছেই। সেই বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE