প্রতীকী ছবি।
রাজস্ব দফতরের কর্তা হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীর টাকা লুট করল দুষ্কৃতীরা।
বুধবার দুপুরে হেস্টিংস থানা এলাকার সেন্ট জর্জেস গেট রোড এবং চ্যাপেল রোডের সংযোগস্থলে ওই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মহম্মদ পাপ্পু ওরফে আবু বাসার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে হেস্টিংস থানা। আটক করা হয়েছে একটি গাড়িও। তাতেই ওই ব্যবসায়ীকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে টাকা লুট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পাপ্পু ওই গাড়িটির মালিক। তাকে শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, লুটের টাকা দিয়ে পাপ্পু আরও একটি গাড়ি কিনেছে। ঘটনায় জড়িত বাকি তিন জনকে খুঁজছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, মোবাইল সরঞ্জামের ব্যবসায়ী, হাওড়ার পিলখানার বাসিন্দা সীতারাম পারেখ ওই দিন খিদিরপুরের ফ্যান্সি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বকেয়া ১৪ লক্ষ টাকা তোলেন। ওই টাকা নিয়ে তিনি ফ্যান্সি মার্কেটের সামনে থেকেই
ট্যাক্সিতে চাপেন। শনিবার ওই ব্যবসায়ী জানান, সেন্ট জর্জেস গেট রোড এবং চ্যাপেল রোডের সংযোগস্থলে এক যুবক ট্যাক্সিটি থামিয়ে তাঁকে নেমে আসতে বলে। সীতারাম জানান, তিনি ট্যাক্সি থেকে নামতেই তাঁকে ধাক্কা মেরে একটি বড় গাড়িতে তোলা হয়। তার পরে তাঁর টাকার ব্যাগটি কেড়ে নেওয়া হয়।
এর পরে প্রায় ১৫ মিনিট বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পরে সীতারামকে কাঁটাপুকুর মর্গের কাছে গাড়ি
থেকে নামিয়ে দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তিনি জানান, যে যুবক তাঁর ট্যাক্সি দাঁড় করিয়েছিল সে নিজেকে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) অফিসার বলে পরিচয় দেয়।
পুলিশ জানায়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রথমে পাপ্পুদের গাড়িটি চিহ্নিত করা হয়। সেটি চার বার হাত বদল হয়েছে। সম্প্রতি ওই গাড়ির জন্য ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গের জরিমানা দেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্রে পাপ্পুর মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। জেরায় সে জানায়, ওই ব্যবসায়ীর উপরে তারা নজর রাখছিল। পরিকল্পনা করেই লুটের ঘটনা ঘটায় তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy