Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বন দফতর খাঁচা পাততেই উধাও মানসবাগের হনুমান

হনুমানের উপদ্রবের খবর পেয়ে বন দফতর বেলঘরিয়ার মানসবাগের কয়েকটি বাড়ির ছাদে খাঁচা পেতেছিল। তিন-চার দিন আগেই খাঁচা পাতা হয়।

হনুমান ধরার খাঁচা। নিজস্ব চিত্র

হনুমান ধরার খাঁচা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:১৫
Share: Save:

‘ফাঁদ’ পাততেই ‘তেনারা’ উধাও!

হনুমানের উপদ্রবের খবর পেয়ে বন দফতর বেলঘরিয়ার মানসবাগের কয়েকটি বাড়ির ছাদে খাঁচা পেতেছিল। তিন-চার দিন আগেই খাঁচা পাতা হয়। আর তার পর থেকেই মানসবাগ ছেড়ে উধাও হনুমানের দল। তবে বন দফতরের কর্মীরা অবশ্য এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন। বাসিন্দাদের ধারনা, খাঁচায় বন্দি হতে পারে আঁচ করেই ঠিকানা বদল করেছে হনুমানেরা।

শেষ দু’সপ্তাহ ধরে হনুমানের উৎপাতে মানসবাগের বাসিন্দারা অতিষ্ট ছিলেন। দল বেঁধে এলাকায় ঢুকে এক বাড়ির ছাদ থেকে আরেক বাড়ির কার্নিসে ধুপধাপ করে ঝাঁপাত হনুমানের দল। এলাকায় জলের পাইপ, বাড়ির টব, সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছিল তারা। ছাদে মেলে দেওয়া জামা কাপড় নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল জনা ১৫ হনুমান। লোকজন বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছিলেন। এলাকার একটি শিশুকেও হনুমান কামড়ায়। খবর পেয়ে বন দফতর হনুমান ধরতে এলাকায় ফাঁদ পাতে। উত্তর ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক অংশুমান মুখোপাধ্যায় জানান, কয়েকটি বাড়ির ছাদে খাঁচা রাখা হয়েছে। প্রতিনিয়ত তার উপরে নজর রাখছেন বন দফতরের কর্মীরাও।

তবে বর্তমানে হনুমানের দেখা না মিললেও খাঁচার ভিতরে টোপ হিসেবে গাজর, আলু, কলা, আপেল রাখা হচ্ছে। কিন্তু বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আনাজ, ফল সবই পড়ে থাকছে। এক বাসিন্দা অভিজিৎ চাকলাদার বলেন, ‘‘বিকেলের দিকে খাঁচাগুলি রাখা হয়েছিল। অবাক করা বি‌ষয়, ওই রাত থেকেই আর কোনও ধুপধাপ আওয়াজও নেই।’’ এক সপ্তাহ আগেও যেখানে সকালে হনুমানের ভয়ে স্কুল, কলেজে বেরোতে ভয় পেত ছেলেমেয়েরা, সেখানে এখন তারাই অপেক্ষা করছে হনুমান দেখার জন্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Monkey Trap Forest Department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE