Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

মশার আঁতুড় ঘর ভাঙতে চায় সেচ দফতর

এই এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। দুই পুরসভা এবং এক পুরনিগমের অধীন এই ক্যান্টনমেন্ট খাল, কমলাপুর ঝিল থেকে শুরু হয়ে দমদম পার্কের কাছে বাগজোলা খালে মিশেছে।

অবরুদ্ধ: অর্জুনপুর বাজারের কাছে খালের এমনই অবস্থা। ছবি: অরুণ লোধ।

অবরুদ্ধ: অর্জুনপুর বাজারের কাছে খালের এমনই অবস্থা। ছবি: অরুণ লোধ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:০২
Share: Save:

সেতুর নীচে খালে পড়ে অসংখ্য প্লাস্টিক, থার্মোকল আর পরিত্যক্ত সামগ্রী। পরিস্থিতি এমন যে, খালের অস্তিত্বই বোঝা যায় না সেখানে। খালপাড় ধরে হাঁটলেই নজরে পড়বে, আবর্জনার স্তূপে গতি রুদ্ধ। এমনই বেহাল দশা খালের। অথচ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা মাসখানেক আগেও ডেঙ্গির আতঙ্কে কাটিয়েছেন।

এই এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। দুই পুরসভা এবং এক পুরনিগমের অধীন এই ক্যান্টনমেন্ট খাল, কমলাপুর ঝিল থেকে শুরু হয়ে দমদম পার্কের কাছে বাগজোলা খালে মিশেছে। তিন এলাকার নিকাশির বড় ভরসা এই খালের দৈর্ঘ্য প্রায় চার কিলোমিটার। খালটি দমদম পুরসভার অন্তর্গত মল রোডের অংশ পেরোলেই এক দিকে, বিধাননগর পুরনিগমের অর্জুনপুর। অন্য প্রান্ত দক্ষিণ দমদমের কবি নবীন সেন রোড এবং গোরক্ষবাসী রোড। অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়া ও কবি নবীন সেন রোডের সংযোগস্থলে থাকা সেতুর নীচের খালের ছবিটা খুবই খারাপ। কিন্তু আরও খারাপ অবস্থা অর্জুনপুর বাজার এবং গোরক্ষবাসী রোডের সংযোগস্থলে।

ঘটনাচক্রে, গত কয়েক বছর ধরে এই তিন পুর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। সে জন্য মশার বংশবিস্তার ঠেকাতে খালে বাসিন্দারা যাতে আবর্জনা না ফেলেন তা দেখতে পুরসভাগুলিকে অনুরোধও করেছিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

কেন তিন পুরসভা দায়িত্ব পালন করল না? দমদম পুরসভার প্রধান হরীন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘কে কখন কী ফেলে দিয়ে যাচ্ছে তা ধরার মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই।’’ দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান বলেন, ‘‘সমস্যার কথা জানলেও পুরসভার তরফে পদক্ষেপ করার সমস‍্যা রয়েছে। সবটা তো বলা যায় না।’’ বিধাননগরের মেয়র পরিষদ (স্বাস্থ‍্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘বাসিন্দা ও কাউন্সিলররা সক্রিয় না হলে এই প্রবণতা কমানো যাবে না। যেমন আমার ওয়ার্ডের অন্তর্গত খালপাড়ে নজরদারি চালাতে ১২টি সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

এখন খালের যা ছবি, তাতে অবিলম্বে এবং নিয়মিত সাফাই অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু এ কাজে স্থানীয় পুর প্রশাসনগুলির ব্যর্থতা দেখে ৩৬৫ দিন খাল পরিষ্কার ও নজরদারির কাজে নামছে সেচ দফতর। দফতর সূত্রের খবর, গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে ছ’মাসের জন্য ক্যান্টনমেন্ট খালের সংস্কার হয়েছিল। সম্প্রতি দরপত্র ডাকা হয়েছে। খাল পরিষ্কার করতে আনুমানিক খরচ ধার্য করা হয়েছে দশ লক্ষ টাকা। আগামী মার্চ থেকে কাজ শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE