Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জমি ফেরাতে পুরসভার গড়িমসি, ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ঝর্না মৌলিকের দাবি, ওই জমির মালিক তিনি। তাঁর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার ও ভিক্টর মুখোপাধ্যায় জানান, ২০১৪ সালে ওই জমির চার দিকে বেড়া দিয়ে শরৎ স্মৃতি উদ্যান তৈরি হয়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৩
Share: Save:

ঠিক পদ্ধতিতে অধিগ্রহণ না করলে রিজেন্ট পার্কের শরৎ স্মৃতি উদ্যানের জমি পুরসভা নিতে পারবে না বলে ফের জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। ওই জমি নিয়ে আদালত অবমাননার এক মামলায় বিচারপতি হরিশ টন্ডন মঙ্গলবার পুর কর্তৃপক্ষকে জানান, পার্কের চার দিকের বেড়া ভাঙতে হবে। একই সঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, দেশে আইনের শাসন থাকা উচিত।

১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ঝর্না মৌলিকের দাবি, ওই জমির মালিক তিনি। তাঁর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার ও ভিক্টর মুখোপাধ্যায় জানান, ২০১৪ সালে ওই জমির চার দিকে বেড়া দিয়ে শরৎ স্মৃতি উদ্যান তৈরি হয়। তার পর থেকে ওই পার্ক মানুষ ব্যবহার করছেন। জমি ফেরত পেতে হাইকোর্টে মামলা করেন ঝর্নাদেবী। মে মাসে বিচারপতি টন্ডন পুরসভাকে নির্দেশ দেন, বেড়া সরিয়ে জমি ফেরত দিতে হবে মহিলাকে। তা না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা।

ঝর্নাদেবীর আইনজীবীরা জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি টন্ডন নির্দেশ দেন, অবিলম্বে বেড়া ভাঙতে হবে। ভাঙার দিন পুলিশ কমিশনারকেও থাকতে হবে ঘটনাস্থলে। এ দিন পুরসভার আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই জমি পুরসভা কিনে নেবে। বেড়া নির্মাণে যে খরচ হয়েছে, ভেঙে দেওয়া হলে তা জলে যাবে।

পুলিশ কমিশনারের পক্ষে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত ও সরকারি কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কমিশনার পুরসভার কমিশনারকে ৮ সেপ্টেম্বর জানান, বেড়া ভাঙার সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। এজি আবেদন করেন, ওই সময়ে কমিশনারের বদলে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে অন্য অফিসারকে থাকতে দিক আদালত।

বিচারপতি প্রথমে জানান, আজ, বুধবারই ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। কিন্তু স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দাদের পক্ষে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু আদালতে জানান, বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর মক্কেলরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা করেছেন। তার নিষ্পত্তি হয়নি।

সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি টন্ডন জানান, জমি অধিগ্রহণ করতে হলে পদ্ধতি মেনেই করতে হবে। তিনি এ-ও জানান, আপিল মামলা দায়ের হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তাঁর নির্দেশের উপরে আপনা-আপনি স্থগিতাদেশ জারি হবে। নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়টি তিনি পুরসভার কমিশনারের বিবেকের উপরে ছেড়ে দিচ্ছেন। কমিশনারের বদলে তাঁর মনোনীত কোনও অফিসার থাকতে পারবেন। বিচারপতি জানান, আদালত অবমাননার মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ সেপ্টেম্বর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE