রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ।ফাইল চিত্র।
জমা জল এবং জঞ্জালে ডেঙ্গিবাহী এডিস ইজিপ্টাইয়ের বংশবৃদ্ধি নিয়ে আগেও তিন বার রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে নোটিস দিয়েছিল পুর প্রশাসন। তাতেও কাজ না হওয়ায় ফের নোটিস দেওয়া হল।
রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ এবং বেথুন কলেজে শনিবার মশা নিধনের অভিযান চালান পুরকর্মীরা। ছিলেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। তিনি জানান, সায়েন্স কলেজের প্রবেশপথের সামনে ভাঙা ড্রাম এবং বালতির জমা জলে এডিস মশার লার্ভা মিলেছে। সায়েন্স কলেজের ছাদের ১৯টি ট্যাঙ্কের মধ্যে তিনটি থেকে জল উপচে পড়ছিল। শিশির মিত্র বিল্ডিংয়ের সামনে স্তূপ হয়ে পড়েছিল ভাঙাচোরা যন্ত্রাংশ। তাতে জল জমেও ছিল। পুরকর্মীরা অন্য বিল্ডিংয়ে উঠে মশা মারার ওষুধ দেন ওই জায়গায়।
অতীনবাবু জানান, সায়েন্স কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, এর পরেও সতর্ক না হলে ৪৯৬ এ ধারায় নোটিস দেওয়া হবে। যাতে বলা আছে, পুরকর্মীরা জঞ্জাল বা জমা জল পরিষ্কার করলে সে খরচ বহন করতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান সচিব অমিত রায়ের দাবি, ‘‘একটি মাত্র খোলা জায়গায় জঞ্জাল পড়ে রয়েছে। সাত দিনের মধ্যেই সে সব পরিষ্কার করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছি পুরসভাকে।’’ পুরসভা সূত্রে খবর, বেথুন কলেজেরও দু’-একটি জায়গায় জল ও জঞ্জাল জমার চিহ্ন মিলেছে। সতর্ক করা হয়েছে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষকেও।
ইতিমধ্যেই পুর কমিশনার খলিল আহমেদ এবং মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) উত্তর কলকাতার ১, ২ এবং ৪ নম্বর বরোর কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। ফের ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের সজাগ করতে কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি যেতে বলা হয়েছে বৈঠকে। পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের সব বরোয় ওই বৈঠক করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy