নিজ আবর্জনা নিজ দায়িত্বে সরাতে হবে। দুর্গাপুজোর জঞ্জাল সাফাই নিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে এই নির্দেশ পাঠাচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। দ্রুত পুজো কমিটিগুলিকে এই মর্মে নোটিস পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম এমন নির্দেশ জারি করছে বিধাননগর পুরসভা। সোমবার দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘সর্বত্র গিয়ে পুজোর আবর্জনা সাফাই করার পরিকাঠামো পুরসভার নেই। পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে পুরসভার সঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকেও সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুত আবর্জনা সরাতে হবে।’’ পুরসভার হিসেবে এই বছর ৪১টি ওয়ার্ডে কমবেশি ২০০টির মতো দুর্গা পুজো হয়েছে। এর পরেই একে একে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো আসবে। পুজোর জঞ্জাল যাতে নাগরিক জীবনকে প্রভাবিত না করে, তার জন্যেই এই নোটিস বলে পুরকর্তারা জানান।
অতীতে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর পরেও দিনের পর দিন মণ্ডপ, পুজোর সামগ্রী মাঠে পড়ে রয়েছে। অনেক সময় খারাপ আবহাওয়ার কারণে পুজোর ঘটে, বাঁশের ভাঙা অংশে বৃষ্টির জল জমেছে। পুজোর আবর্জনা পড়ে থাকায় সল্টলেকে পার্ক ব্যবহার করতে পারেননি ব্লকের বাসিন্দারা। ওই সব ক্ষেত্রেই পুরসভাকে শেষ পর্যন্ত আসরে নেমে জঞ্জাল সাফাই করতে হয়েছে।
দেবাশিসবাবু অবশ্য জানান, যে সব পুজো কমিটির আবর্জনা সাফাইয়ের পরিকাঠামো নেই, তারা দ্রুত পুরসভার কাছে আবেদন করুক জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ করার জন্য। পুরসভার সেই সব পুজোর জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ করে দেবে। তার খরচ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিকেই।
ইতিমধ্যে পুর এলাকায় প্রতিমা বিসর্জনের ৯টি ঘাটে সাফাইয়ের কাজ চলছে বলে পুরকর্তারা জানান। পুজোর পরে যাতে রাস্তা আবর্জনায় অপরিষ্কার না থাকে, তার জন্য উৎসবের দিনগুলিতে এলাকা সাফাইয়ের কাজ করেছে বিধাননগর পুরসভা। এর জন্য অতিরিক্ত কর্মী পথে নামানো হয়। পুরসভার সেই তৎপরতাও সঠিক বলেই জানিয়েছেন নাগরিকেরা।
যদিও কোনও কোনও এলাকায় অভিযোগ, সর্বত্র পুরসভার সাফাই অভিযানে তৎপরতা ছিল না। যেমন, একটি সরকারি আবাসনে পুজোর শেষ ক’দিনের আবর্জনা সরানো হয়নি। পুরকর্তাদের একাংশের দাবি, পুজোয় লাগাতার কাজ করেছেন কর্মীরা। দশমীতে তাই তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়। তবে সমস্যা দ্রুত মেটানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy