প্রতীকী ছবি।
এ যেন লুকোচুরি চলছে গোটা বিধাননগর পুর এলাকা জুড়ে।
প্লাস্টিক দূষণ রোধে পুরসভা বাজারে দোকানে অভিযান চালাচ্ছে। আর সেখানেই চলছে লুকোচুরি। পরিচিত গ্রাহক পেলে বিক্রেতাদের কেউ ৫০ মাইক্রনের নীচের প্লাস্টিক দিচ্ছেন। অপরিচিত হলেই কাগজের ঠোঙা দিচ্ছেন।
এমন ছবি বাগুইআটি থেকে শুরু করে রাজারহাট-গোপালপুর বা সল্টলেকেও। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে। তবে সার্বিক ভাবে ৫০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে সময় লাগবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমিতিগুলির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা, তাঁদের সচেতন করতে প্রচারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিশেষ সাড়া মিলছে না বলেই দাবি পুরসভার। গত এক সপ্তাহেই পুরসভা অভিযানে গিয়ে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত করেছে।
অথচ গত দেড় বছরে বিধাননগর পুরসভা নিকাশি নালা থেকে লাগাতার বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক উদ্ধার করেছিল। তার ফলও হাতেনাতে পেয়েছেন বিধাননগরবাসী। এ বছর এখনও পর্যন্ত বর্ষার মরসুমে দ্রুত জল সরাতে পেরেছে পুরসভা। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফিরছে না ক্রেতা বা বিক্রেতাদের। তবে পুরসভার দাবি, নিয়মিত অভিযানের ফলে কিছুটা হলেও ভীতি তৈরি হয়েছে বাজার-দোকানে। অনেক বাজারেই এখন কাগজের ঠোঙায় সামগ্রী সরবরাহ করা শুরু হয়েছে।
যদিও বাসিন্দাদের দাবি, সরকারি নির্দেশিকা মেনেই প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রয়োজন। শপিং মলে গেলে প্লাস্টিকের জন্য আলাদা দাম দিতে হয় ক্রেতাদের। সাধারণ দোকান-বাজারেও তেমন চালু হোক। বাগুইআটির বাসিন্দা শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘প্লাস্টিক বন্ধ হোক। কিন্তু তার বিকল্প ব্যবস্থারও প্রয়োজন।’’
দিল্লির জাতীয় পরিবেশ আদালত সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে, যে ৫০ মাইক্রনের নীচে সব প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এবং রাজ্যে যেখানে যত বেআইনি ক্যারিব্যাগ রয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। দক্ষিণ দমদম পুরসভা ইতিমধ্যে প্লাস্টিক বন্ধ করতে পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু তাঁরা জানিয়েছিলেন, প্লাস্টিকের বদলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে কাপড়ের ব্যাগ তৈরি করা হবে। সেই ব্যাগ দোকান বাজারে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হবে। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) রহিমা বিবি মণ্ডল বলেন, ‘‘প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে অন্য ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে।’’ তবে তিনি জানান, সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যেও নিয়মিত অভিযান চলছে। কোনও ভাবেই সরকারি নির্দেশিকার বাইরে প্লাস্টিক ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করতে প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy