প্রতীকী ছবি।
এ বার পচা ফল, আনাজ, মাছ-মাংস থেকে তৈরি হবে জৈব গ্যাস ও সার। এমনই প্রকল্প শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধাপায় আসা পচা ফল, আনাজ এবং মাছ-মাংসের মতো বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ১৫০০ মেট্রিক টন। তা থেকেই বায়ো সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) এবং জৈব সার তৈরি করা হবে। পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতর সূত্রের খবর, পাইলট প্রকল্প হিসেবে দৈনিক ২৫ মেট্রিক টন বর্জ্য থেকে গ্যাস তৈরির প্রকল্প হচ্ছে। চলতি বছরেই তা চালু হবে। পরে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
কলকাতায় দৈনিক প্রায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য জমা হয়। যার মধ্যে রয়েছে বাজারের নষ্ট আনাজ, ফল এবং মাছ, মুরগি, ছাগলের বাতিল অংশ। সঙ্গে থাকে বিল্ডিং, মেডিক্যাল এবং ই-ওয়েস্টও। মেয়র পারিষদ (বর্জ্য) দেবব্রত মজুমদার জানান, ফল, আনাজের বাতিল অংশ যা ধাপায় আসে, তার ২৫০ মেট্রিক টন এখন বেসরকারি এক সার কারখানাকে দেওয়া হয়। ওই বর্জ্য থেকে বায়ো সিএনজি গ্যাস উৎপাদনের পাইলট প্রকল্প চালু করে দেখা হবে কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে। তার পরেই বৃহত্তর ক্ষেত্রে জৈব সার ও সিএনজি গ্যাস উৎপাদনের কথা ভাবা হবে।
জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রকল্পের খরচ ধার্য হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। বিল্ডিং, রাস্তা, জল, নিকাশি-সহ পরিকাঠামো প্রস্তুতে প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ হবে। যন্ত্রের দাম প্রায় ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। শীঘ্রই দরপত্র ডাকা হবে বলে জানান তিনি।
বর্জ্য বাছাই কী ভাবে হবে? শুরুতে গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, লেক মার্কেট, পার্ক সাকার্স ও ল্যান্সডাউন বাজারের বর্জ্য আলাদা করে বেছে তা আনা হবে প্লান্টে। দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘শুরুতেই দৈনিক পাঁচ মেট্রিক টন বর্জ্য দিয়ে উৎপাদন শুরু হবে। তা থেকে দৈনিক ৯৯ কেজি (১১টি ভর্তি সিলিন্ডার) সিএনজি ও ২৬০ কেজি জৈব সার উৎপাদন হবে। পরে ওই প্লান্টে ২৫ টন পচনশীল বর্জ্য ব্যবহার শুরু হলে দৈনিক প্রায় দেড় মেট্রিক টন করে সিএনজি গ্যাস উৎপাদন হবে।’’
পুরসভার উদ্যানগুলোতে ওই জৈব সার ব্যবহার হবে। উৎপাদিত সিএনজি দিয়ে পুরসভার গাড়ি চালানোর ভাবনা রয়েছে। উৎপাদন বা়ড়লে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy