Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রাস্তা আটকে হচ্ছে ‘উন্নয়ন’

স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, নিকাশির কাজ হচ্ছে, তা ভাল কথা। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোনোর বিকল্প ব্যবস্থা না করে কেন কাজ করা হচ্ছে! কেউ যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তা হলে কী হবে? প্রতিদিনের যাতায়াতও কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে! পুরসভার বক্তব্য, নিচু ওই এলাকা বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে বলে নিকাশির কাজ হচ্ছে। তাই সাময়িক এই সমস্যা।

দুর্ভোগ: এ ভাবেই বাড়ি থেকে বেরোনোর পথ আটকে রয়েছে নিকাশির কাজের জন্য। মধ্যমগ্রামের রানিপার্ক এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

দুর্ভোগ: এ ভাবেই বাড়ি থেকে বেরোনোর পথ আটকে রয়েছে নিকাশির কাজের জন্য। মধ্যমগ্রামের রানিপার্ক এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ০১:৪১
Share: Save:

বাড়ির সামনেই খোঁড়া রাস্তা। এমনই অবস্থা যে, বাড়ি থেকে বেরোনোর কার্যত উপায় নেই। খোঁড়া রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য সরু পাটাতন পাতা হয়েছে বটে, কিন্তু তার উপর দিয়ে যেতে সার্কাসের দড়ি-খেলার মতো শরীরের ভারসাম্য রাখা আবশ্যিক! না হলেই বিপদ। এলাকায় জমা জলের সমস্যার সমাধান করতে নিকাশির পরিকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে, তাতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রানিপার্ক এলাকায়।

স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, নিকাশির কাজ হচ্ছে, তা ভাল কথা। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোনোর বিকল্প ব্যবস্থা না করে কেন কাজ করা হচ্ছে! কেউ যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তা হলে কী হবে? প্রতিদিনের যাতায়াতও কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে! পুরসভার বক্তব্য, নিচু ওই এলাকা বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে বলে নিকাশির কাজ হচ্ছে। তাই সাময়িক এই সমস্যা।

কলকাতা থেকে বারাসতের যানজট এড়াতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তার দু’পাশে নিকাশি তৈরি হচ্ছে। মধ্যমগ্রাম পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাকা নর্দমা তৈরি করে সেই জল জাতীয় সড়কের পাশের ওই নর্দমা দিয়ে সরাসরি খালে পাঠানো হবে। পুরসভার দাবি, এর ফলে এলাকার নোংরা-আবর্জনা বেরোনোর পাশাপাশি বর্ষায় ওই জায়গা জলমগ্ন হবে না। সেই কাজেরই অংশ হিসেবে রানিপার্কে চলছে ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পে পাকা নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির কাজ।

বাসিন্দাদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, সেই কাজ কেন এমন ভাবে হচ্ছে? একেই বর্ষা, তার উপরে খোঁড়াখুড়িতে গোটা এলাকা জলকাদায় মাখামাখি হয়ে রয়েছে। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বাড়ির সামনে এমন ভাবে খোঁড়া হয়েছে যে, সদর খুলে বাইরে বেরোনোর উপায় নেই।’’ অন্য এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘খোঁড়া চওড়া অংশের উপরে পেতে দেওয়া হয়েছে একচিলতে কাঠের পাটাতন। ফলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। চলাফেরা করার সময়ে যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে তো ঝুঁকি আরও বেশি।’’

কেন এ বিষয়টি খেয়াল রেখে কাজ করছে না পুরসভা? চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘নর্দমা তৈরি করে তার উপরে স্ল্যাব পেতে রাস্তা করা হবে। সদ্য করা সিমেন্টের কাজের উপরে পাটাতন ছাড়া আর কিছু পাতা যায় না। তাই সেটাই রাখা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Municipality Work Adversity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE