রোমিতা চট্টোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়া এলাকায় এক গৃহবধূকে মারধর করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। পাটুলি থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার দিদি। শুক্রবার দুপুরে ওই গৃহবধূকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে গৃহবধূর মৃতদেহ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পাটুলি থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতার স্বামীকেও।
২০১৭ সালে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা রোমিতা চট্টোপাধ্যায়ের (২৬) সঙ্গে বিয়ে হয় গড়িয়ার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের। আঁকা শেখানোর পাশাপাশি মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করতেন রোমিতা। তাঁর স্বামী শুভ্রজ্যোতি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিমা বিভাগে কাজ করেন।
শুক্রবার সকালে রোমিতার বাপের বাড়িতে ফোন করেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রোমিতার বাপের বাড়িরঅভিযোগ, প্রথমে বলা হয় রোমিতা শারীরিক ভাবে অসুস্থ, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তুদুপুরে হাসপাতালে এসে তাঁরা জানতে পারেন রোমিতার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রোমিতার দিদি রিনীতা দাস ভট্টাচার্যের অভিযোগ, বোন মারা গেলেও প্রথমে সেই খবর তাঁদের দেওয়া হয়নি। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর বোনকে প্রতি দিনইশারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত বলেও অভিযোগ রীনিতার।তাঁর দাবি, বোনের শ্বশুরবাড়ির আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, রোমিতাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রিনীতার প্রশ্ন, বোন মারা গিয়েছে জানার পরেও কেন প্রথমে অসুস্থতার খবর দেওয়া হয়েছিল তাঁদের?
আরও পড়ুন: শ্রীকান্ত মোহতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত, সিবিআই পেশ করল ‘সিক্রেট ইনফরমেশন’
শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বোনকে খুনের অভিযোগ এনে পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রিনীতা। তাঁর দাবি, রোমিতার গলায় জমাট রক্ত পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গলার কাছে আরও কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন এবং কালশিটে দাগ হয়ে গিয়েছিল। মৃত গৃহবধূর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাটুলি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফের মেট্রোয় আগুন আতঙ্ক, বন্ধ রইল ট্রেন, ভোগান্তি যাত্রীদের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy