আবাসনের নিচে । নিজস্ব চিত্র।
সাত সকালে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার কেএম নস্কর রোডে।
৩০ নম্বর কেএম নস্কর রোডে একটি চারতলা আবাসন। সোমবার সকালে আবাসনের ছাদে উঠতে গিয়ে হঠাৎ তাজ্জব হয়ে যান আবাসনের বাসিন্দারা। চারতলায় ওঠার সিঁড়ির রেলিং থেকে ঝুলছে খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পরা এক ব্যক্তির দেহ। যিনি প্রথম দেহটি দেখতে পান, তিনি সঙ্গে সঙ্গে আবাসনের বাকি বাসিন্দাদের খবর দেন। কেউই ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারেননি। তাঁদের দাবি, মৃত ব্যক্তি ওই আবাসনের বাসিন্দা নন। আর সেখান থেকেই দানা বাঁধছে রহস্য!
বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। তাঁরা দেহ নামিয়ে মৃতের সঙ্গে থাকা এমন কিছু পাননি যা থেকে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে তাঁরা ওই আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে এক দফা কথা বলেছেন। ওই ব্যক্তি কোনও ফ্ল্যাটে পরিচারকের কাজ করতেন, এমন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি পর্দার কাপড়ে ফাঁস দিয়ে ওই ব্যক্তি রেলিং থেকে ঝুলছিলেন। আবাসনের এক বাসিন্দা ওই পর্দার কাপড় শনাক্ত করেছেন। তিনি ওই পর্দা ছাদে শুকোতে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অভিষেকের নিরাপত্তায় বাড়াবাড়ির অভিযোগ তুলে দড়ির ব্যারিকেড খুলে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের দেহে কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তার সঙ্গে মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা স্পষ্ট নয়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
লোকসভা ভোটের সব খবর পড়তে ক্লিক করুন
এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “ওই ব্যক্তি কী ভাবে ওই বাড়ির সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছলেন সেটাই রহস্য। কারণ, মৃতের সঙ্গে ওই আবাসনের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে।” ওই আধিকারিক জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে বোঝা যাবে এটি খুন না কি আত্মহত্যার ঘটনা।
তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
তবে কি ওই ব্যক্তি চুরির মতলবে এসেছিলেন? পোশাক দেখে এমন সম্ভবনাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা। কারণ, এর আগে ওই এলাকাতেই এ রকম এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ পাওয়া গিয়েছিল। পরে জানা গিয়েছিল, মৃত ব্যক্তি চুরি করতে এসেছিলেন। কিন্তু কোনও ভাবে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়। ওই তদন্তকারী বলেন, “মৃত যদি চোরও হয়, তবে সে ওই বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস দেবে কেন?”
আরও পডু়ন: জটিল হচ্ছে গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসরে নিতিন গডকড়ী, রাতভর বৈঠক শরিক দলগুলোর সঙ্গে
সোমবার দুপুরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এগোচ্ছেন। গনপিটুনির সম্ভবনাও তাঁরা ওড়াচ্ছেন না। তবে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গনপিটুনির ক্ষেত্রে যে ধরনের আঘাত দেখা যায় তা ওই ব্যক্তির দেহে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy