আরও নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে নবান্নকে। প্রতিটি গেটে ব্যাগেজ স্ক্যানার ছাড়াও নবান্নের গাড়ির গেটে ড্রপ গেট বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরের অফিসারেরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাপজোক করেছেন। অকেজো ব্যাগেজ স্ক্যানারের বদলে নতুন পাঁচটি ব্যাগেজ স্ক্যানার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নবান্নের সামনের রাস্তাগুলি এবং প্রতিটি তলার নজরদারির জন্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা আগেই বসানো হয়েছিল। সেগুলি পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিনিয়ত নজরে রাখা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার নিজে নিত্যদিন সকাল এবং দুপুরে নবান্নে এসে নিজেই ঘুরে ঘুরে সব কাজ দেখছেন। নর্থ গেটের সামনে নতুন একটি টিনের চালের ঘর করে মেটাল ডিটেক্টর গেট বসিয়ে নবান্নে আসা সকলের পরিচয়পত্র পুলিশকে দেখিয়ে ঢুকতে হচ্ছে।
নবান্নের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের একাংশের বক্তব্য, আগে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে সকালের দিকে এক বারই পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি করানো হত। নতুন পুলিশ কমিশনার আসার পরে দুপুরেও কুকুর দিয়ে তল্লাশি হচ্ছে।
নবান্নের বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব হাওড়া পুলিশ কমিশনারের। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই তারা কাজ করে। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের দায়িত্বও কলকাতা পুলিশ এবং হাওড়া পুলিশ যৌথ ভাবেই করছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য সেতুর চারদিকে আরও বেশি এলাকায় রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
নবান্নের এক কর্তা বলেন, এতদিন নর্থ গেট দিয়ে ঢোকা সরকারি ও বেসরকারি গাড়িগুলিকে আটকানোর ব্যবস্থা ছিল না। সরকারি স্টিকার দেখে গাড়ি ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হত। ভিতরে ঢোকার পরে গাড়ির নীচে কিছু রাখা আছে কি না, তা ভিউ মিরার দিয়ে পরীক্ষা করা হত। ড্রপ গেট বসানো হলে তল্লাশির কাজ আরও ভাল হবে বলেই মনে করছে পুলিশ। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশেই নবান্ন। রাজ্যের সচিবালয়। সচিবালয়ের চারদিকে দোতলা, তিনতলা বসত বাড়ি। টোলপ্লাজা পর্যন্ত সেতুর দু’পাশেই লোহার রেলিং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কোনও বাড়ি থেকেই আর সেতুর উপর দিয়ে কোন গাড়ি যাচ্ছে, তা দেখা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy