প্রতীকী ছবি
ভাইফোঁটার দিনে অটোমালিক আব্দুল রফিককে খুনের ঘটনায় তাঁর এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত মহম্মদ ইসমাইল রফিকের সঙ্গে একই আবাসনে থাকত। শনিবার পার্ক সার্কাস থেকে তাকে ধরা হয়। ধৃতকে আজ, রবিবার আদালতে তোলা হবে।
পুলিশের দাবি, ইসমাইলের স্ত্রীর প্রতি আসক্তি ছিল বছর পঁয়ষট্টির রফিকের। তদন্তকারীদের ইসমাইল জানিয়েছে, বারবার সর্তক করা সত্ত্বেও রফিক তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ না করায় তাঁকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করেছে সে। মঙ্গলবার রাতে কড়েয়া থানার তিলজলা রোডের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রফিককে। ওই ফ্ল্যাটে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন ওই প্রৌঢ়।
পুলিশ জানায়, অভাব থাকায় দূর থেকে জল আনতেন আবাসিকেরা। মূলত রফিকের অটো করেই যেতেন তাঁরা। ইসমাইলের স্ত্রীও থাকতেন ওই দলে। বছরখানেক আগে ইসমাইলের স্ত্রীর প্রতি রফিকের আচরণ সামনে আসে। স্ত্রীর জল আনতে যাওয়া বন্ধ করে দেয় ইসমাইল। সে রফিককে সতর্কও করে। অভিযোগ, এর পরেও রফিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। পুলিশের দাবি, সম্প্রতি ইসমাইল তা জানতে পেরে রফিককে খুনের পরিকল্পনা করে। একটি চপার কেনে ইসমাইল। ঘটনার দিন রফিক ফ্ল্যাটে একা রয়েছে জানতে পেরে সেখানে ঢুকে তাঁকে খুন করে সে।
তদন্তকারীরা জানান, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে খুনের পরে আলমারি লন্ডভন্ড করে দেয় ধৃত। এর পরে নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে জামা বদলে সিসি ক্যামেরা এড়িয়ে আবাসনের পিছনের গেট দিয়ে পালায় সে। রক্তমাখা জামা ফেলে ফিরে আসে। তদন্তকারীদের ইসমাইল জানায়, এক জন ধোপা এসে দেখেছিলেন রফিক খুন হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের কথা পরিবারের সবাইকে জানিয়েছিল ইসমাইল। তার পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে বিষয়টি গোপন করে।
তদন্তকারীদের দাবি, বার বার জেরায় নানা অসঙ্গতি উঠে আসে ইসমাইল এবং তার স্ত্রীর কথায়। রফিকের মোবাইলের কল লিস্টে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে বহুবার কথা হয়েছে ধৃতের স্ত্রীর। জিজ্ঞাসাবাদে গোলমালের কথা জানান ধৃতের স্ত্রী। তার পরে ইসমাইল খুনের কথা স্বীকার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy