Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

অবৈধ নির্মাণ ঠেকাতে নয়া বিভাগ পুরসভায়

পুরসভা সূত্রের খবর, বেআইনি নির্মাণের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেবেন ওই সেলের কর্মী-অফিসারেরা। 

ভেঙে দেওয়া হচ্ছে শহরের একটি অবৈধ নির্মাণ। ফাইল চিত্র

ভেঙে দেওয়া হচ্ছে শহরের একটি অবৈধ নির্মাণ। ফাইল চিত্র

অনুপ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২০
Share: Save:

শহরের আনাচকানাচে অবৈধ ভাবে তৈরি নির্মাণ নিয়ে প্রতি সপ্তাহেই নানা অভিযোগ জমা পড়ে কলকাতা পুরসভায়। এ বার সেই সব অভিযোগের উপরে নজর দিতে বিশেষ ‘সেল’ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসন। পুরসভার বিল্ডিং দফতরেই বসবে ওই বিভাগ। পুরসভা সূত্রের খবর, বেআইনি নির্মাণের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেবেন ওই সেলের কর্মী-অফিসারেরা।

কী কাজ করবে ওই বিভাগ?

পুরসভা সূত্রের খবর, মেয়র ও পুর কমিশনারের কাছে অবৈধ নির্মাণ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়লে তা পাঠানো হবে ওই বিশেষ বিভাগে। প্রতিটি অভিযোগ খুঁটিয়ে দেখে তা নিয়ে খোঁজখবর নেবেন ওই বিভাগের অফিসার-ইঞ্জিনিয়ারেরা। সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্তব্যরত সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (এসএই) এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের (এই) সঙ্গে কথা বলে তাঁরা এ নিয়ে কী পদক্ষেপ করেছেন, তা-ও জানা হবে। এর পরে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট করে পাঠানো হবে মেয়র, পুর কমিশনারের কাছে। তেমন বুঝলে ভেঙে দেওয়া হবে সেই নির্মাণ। পুরসভার এক কর্তা জানিয়েছেন, ভোটপর্ব চুকে যাওয়ার পরেই এই বিভাগ চালু হয়ে যাবে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানাচ্ছেন, শহর জুড়ে বেআইনি ভাবে কোথাও বাড়ি, কোথাও ক্লাব, কোথাও রাজনৈতিক অফিস গজিয়ে ওঠে। অভিযোগ, ওই সব বেআইনি কাজের সঙ্গে পুরসভার এক শ্রেণির কর্মী-সহ পুলিশের একাংশের যোগ থাকায় এর বিরুদ্ধে সে ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এমনকি, কখনও কখনও এলাকার রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে এতে মদত থাকার অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে। প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আমলেও এমন অভিযোগ শুনতে হয়েছে। বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দফতরে নির্মাণ নিয়ে গত চার মাসে যত অভিযোগ জমা পড়েছে (সাড়ে পাঁচশোরও বেশি), তার ৮০ শতাংশই অবৈধ নির্মাণ সংক্রান্ত।

মেয়র হওয়ার পরে ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেছিলেন যে, শহরে বেআইনি নির্মাণ বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সে সময়ে পুর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও এলাকায় বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে না পারলে তার দায় নিতে হবে সেখানে কর্তব্যরত এসএই এবং এই-কে। বেআইনি নির্মাণ রুখতে গিয়ে বাধা পেলে তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবেন এবং তা বিল্ডিং দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করবেন। এর অন্যথা হলে সাসপেন্ড পর্যন্ত করা হতে পারে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

KMC Illegal Construction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE