Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ছেলের মৃত্যুর জন্য এক বিজ্ঞানীকে দায়ী করলেন গবেষকের বাবা

অর্পণের মায়ের কথায়, ‘‘অর্পণ ওই বিজ্ঞানীর নাম করে আমাদের একাধিক বার জানিয়েছিল, ও ভীষণ চাপে রয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ওর এই মৃত্যু আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। ছেলের অকালমৃত্যুর বিচার চাই। থানায় এসে তদন্তকারীদের সে কথাটাই বললাম।’’

অর্পণ পাড়ুই।

অর্পণ পাড়ুই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩৯
Share: Save:

জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার তরুণ গবেষকের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা-মা আগেই থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে, সেই অভিযোগে কারও নাম ছিল না। বুধবার ওই সংস্থারই এক বিজ্ঞানীর নাম অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরা। এ দিন রাতে নিউ আলিপুর থানায় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন অর্পণের বাবা ও মা।

পুলিশ সূত্রের খবর, থানায় তদন্তকারীদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন মৃত গবেষকের বাবা অঞ্জন পাড়ুই ও মা দেবী পাড়ুই। অঞ্জনবাবুর দাবি, ‘‘আমার ছেলের আত্মহত্যা করার কথাই নয়। ওকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। এই অভিযোগেই আমরা জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার এক বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’’ তদন্তের স্বার্থে ওই বিজ্ঞানীর নাম বলতে চাননি অঞ্জনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মাস চারেক আগে অর্পণ ওই সংস্থায় অস্থায়ী ভাবে গবেষণার কাজে যোগ দিয়েছিল।
পরে পরীক্ষা দিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থায়ী ভাবে গবেষক হিসেবে নিযুক্ত হয়। কাজে যোগ দেওয়ার পরেই অর্পণ এক বিজ্ঞানীর নাম করে আমাদের কাছে নানা অভিযোগ করত।’’

অর্পণের মায়ের কথায়, ‘‘অর্পণ ওই বিজ্ঞানীর নাম করে আমাদের একাধিক বার জানিয়েছিল, ও ভীষণ চাপে রয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ওর এই মৃত্যু আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। ছেলের অকালমৃত্যুর বিচার চাই। থানায় এসে তদন্তকারীদের সে কথাটাই বললাম।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া ভবনের নীচে অর্পণকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার গভীর রাতে মৃতের বাবা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউ আলিপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন। বুধবার রাতে অর্পণের বাবা অঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘আমরা চাই, অর্পণের মৃত্যু-রহস্যের জট খুলুক।’’

অর্পণের বাবা-মায়ের অভিযোগ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জুলজিক্যাল সার্ভের অধিকর্তা কৈলাস চন্দ্র। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার জুলজিক্যাল সার্ভে ভবনের আটতলায় উদ্ধার হওয়া মৃতের মোবাইল ও ল্যাপটপ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ডি সি (সাউথ) প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় অর্পণের বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Researcher Death Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE