জলাভূমি রক্ষা করার নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই কাজে সে ভাবে সাফল্য আসেনি। এ বার তাই বিভিন্ন দফতরকে একই ছাদের তলায় এনে সার্বিক পরিকল্পনার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার জলাভূমি দিবসে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা একযোগে একের পর এক জলাভূমি বোজানোর কথা কার্যত স্বীকার করেছেন। সেই প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের নতুন পরিকল্পনার কথাও জানান তাঁরা।
এ দিন দুপুরে সল্টলেকের নলবন ফুডপার্কে জলাভূমি দিবস উদ্যাপন করে মৎস্য দফতর। সেই অনুষ্ঠানের পরে জলাভূমি রক্ষা করতে না পারার কথা কার্যত স্বীকার করে নেন জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি জানান, জলাভূমিকে রক্ষা করতে গেলে কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন। সেই অনুসারে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন দফতরের সমন্বয় করে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিভিন্ন দফতরই চিন্তাভাবনা করছে। জলাভূমিও তার বাইরে নয়। বিভিন্ন দফতরের প্রস্তাবকে একত্রিত করে সার্বিক পরিকল্পনা করা হবে।’’
তিনি জানান, মৎস্য উৎপাদনে রাজ্য আগের থেকে উন্নতি করলেও এ বার খরা, গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ার মতো একাধিক কারণে ঘাটতি রয়েছে। সমাধানের জন্য ভিয়েতনামের কই ছাড়াও একাধিক মাছের চারা দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে ঘাটতি দূর করা সম্ভব।
কিন্তু মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে হলে আরও বেশি করে অব্যবহৃত জলাভূমিকে যেমন মাছ চাষের উপযোগী করতে হবে, তেমন ভাবে জলাভূমিকে রক্ষা করার দায়িত্বও নিতে হবে। সেই নিরিখে এ বার রাজ্য প্রশাসন সার্বিক পরিকল্পনা করতে উদ্যোগী হয়েছে বলে জানান মন্ত্রীরা।
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সুন্দরবন বিষয়ক দফতরের (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাধিপতি সামিমা শেখ, মৎস্য দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুমন্ত চৌধুরী প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy