ফাইল চিত্র
নিউ মার্কেটের সংস্কারের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরির ব্যাপারে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু এই মুহূর্তে এর জন্য অর্থ বরাদ্দ না থাকায় আপাতত সেই পরিকল্পনা স্থগিত করা হল বলে জানিয়েছে পুরসভা। এর ফলে নিউ মার্কেট এবং সংলগ্ন ফুটনানি চেম্বার পুরোপুরি সংস্কার করে তার কাঠামোগত কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। তবে পুরসভার একটি সূত্রের দাবি, আপৎকালীন ভিত্তিতে নিউ মার্কেট এবং ফুটনানি চেম্বারের যে সমস্ত জায়গায় মেরামতি প্রয়োজন, তা করা হচ্ছে।
কলকাতা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা বাজার দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববি বলেন, “পুরসভা সিদ্ধান্ত নিলেও পুর বোর্ড ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে বাজেট বরাদ্দ হয়নি। এই খাতে কোনও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় আপাতত এই পরিকল্পনা স্থগিত করা হল। নতুন করে বাজেট বরাদ্দ করে নিউ মার্কেট সংস্কারের কাজ শুরু হলে বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করা হবে।’’ তিনি আরও জানান, নিউ মার্কেটের পাশাপাশি ফুটনানি চেম্বারের সংস্কারের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি মেনে চলা হবে। বছর তিনেক আগে ফুটনানি চেম্বার অধিগ্রহণ করেছিল পুরসভা। তবে নিউ মার্কেট এবং ফুটনানি চেম্বার— দু’টিই হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হওয়ায় পুরসভা সেখানে ইচ্ছে মতো সংস্কার করতে পারবে না। হেরিটেজ কমিটির অনুমতি নিয়ে, কোনও বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ মেনেই সেখানে সংস্কারের কাজ করতে হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে নিউ মার্কেটের বি ব্লকের একটি অংশ ভেঙে পড়েছিল। তার পরেই ওই অংশ সংস্কারের জন্য পুর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হন। কিন্তু হেরিটেজ কমিটির নিয়মকানুনের বেড়াজালে সেই সংস্কারের কাজ আটকে যায়। তবে সে সময়ে জরুরি ভিত্তিতে কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছিল। যদিও নিউ মার্কেটের দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন এস এস হগ মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উদয় সাউ। তিনি বলেন, “শহরের অন্যতম পুরনো এই বাজারের সংস্কার নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহু বার আলোচনা করেছি। দ্রুত এই বাজারের সংস্কার প্রয়োজন।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের পুর বাজারগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। পুরসভার বাজার দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, রুটিনমাফিক পুরসভার ৪৬টি বাজারেই মেরামতির কাজ হয়। তবে নিউ মার্কেট ছাড়া বাকি পুর বাজারগুলির বিষয়ে পুর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবেন, তা নিয়েও আলাদা পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy