ফাইল চিত্র।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং এলাকাবাসীর পরিবহণের সুবিধা করতে অ্যাপ নিয়ন্ত্রিত সাইকেল এবং ই-সাইকেল প্রকল্প চালু হয়েছিল নিউ টাউনে। সেই প্রকল্প নানা কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে স্থগিত হয়ে যায়। তার কারণ পর্যালোচনা করে সমাধানের পথ বার করেছে প্রশাসন। ফের সেই প্রকল্প চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ।
এর আগে অ্যাপ নির্ভর সাইকেল কিংবা ই-সাইকেল চালু হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছিল, ব্যবহারের পরে সেই সাইকেল ফুটপাতে রেখে দিচ্ছিলেন ব্যবহারকারীরা। এর ফলে বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়। ফুটপাতে পথচারীদের চলাফেরায় সমস্যা তৈরি হয়। এমন নানা কারণে প্রকল্পটি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। স্থগিত হয়ে যায় প্রকল্পটি।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, প্রকল্পের লোকসানের কারণ নানা দিক থেকে খতিয়ে দেখে পরিকল্পনা করা হয় যে যত্রতত্র সাইকেল রেখে দেওয়া যাবে না। তার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। সাইকেল ব্যবহার করার পরে ওই সব নির্দিষ্ট জায়গায় সাইকেল রাখতে হবে। সূত্রের খবর, ২০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৮টি জায়গায় সেই কাজ শুরু হবে। তার জন্য টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ধরনের সাইকেলগুলির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, ফের ওই প্রকল্প চালু করলে খুবই উপকৃত হবেন তাঁরা। তাঁরা জানান, নিউ টাউনে তথ্যপ্রযুক্তি তালুক-সহ বিভিন্ন ধরনের অফিস রয়েছে। সেই সব অফিসের বহু কর্মী বসবাস শুরু করেছেন নিউ টাউনেই। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসনে ধীরে ধীরে আবাসিকদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সেখানে ক্রমশ গাড়ির চাপও বাড়বে। কিন্তু যে ভাবে শহর সাজিয়ে তোলা হচ্ছে, সবুজ রক্ষার চেষ্টা হচ্ছে, সেখানে পরিবহণের জন্য সাইকেল সব চেয়ে ভালো ব্যবস্থা।
এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবহণ ব্যবস্থা এই দু’টি বিষয়কে মাথায় রেখেই সাইকেল প্রকল্পকে নতুন রূপে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে এই প্রকল্প যাতে ফের আর্থিক ক্ষতির মুখে না পড়ে, সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy