ছবি: সংগৃহীত
সুভাষ সরোবরের জল দূষিত নয়। জলের নমুনা পরীক্ষা করে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া রিপোর্টে এ কথাই জানিয়েছে রাজ্য পরিবেশ দফতর। ফলে জলদূষণ নয়, সম্পূর্ণ অন্য কোনও কারণে সম্প্রতি সুভাষ সরোবরে মাছ মারা গিয়েছিল বলে ধারণা পরিবেশ দফতরের।
দিন পনেরো আগে এই সরোবরে মরা মাছ ভেসে ওঠার পরে রাজ্য পরিবেশ দফতরকে দিয়ে জলের নমুনা পরীক্ষা করায় কেএমডিএ। সংশ্লিষ্ট সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জলাশয়ে মাছ মারা গেল কেন, তা জানতে মৎস্য দফতর এবং পরিবেশ দফতরকে দিয়ে জলের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। মৎস্য দফতর আগেই জানিয়েছিল যে, প্রাকৃতিক কারণেই জলে মাছ মারা গিয়েছে। এ বার পরিবেশ দফতরও জানিয়েছে, জলদূষণের ফলে মাছ মারা যায়নি।’’
সুভাষ সরোবরে মাছের মৃত্যু নিয়ে মৎস্য বিশেষজ্ঞ তথা রাজ্যের মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গদাধর দাস জানান, অনেক সময়ে গরমে জলাশয়ের উপরিভাগের জল তেতে ওঠে। তাতে জলে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। এর ফলে মাছ খাবি খেতে খেতে মারা যেতে পারে। সুভাষ সরোবরের ক্ষেত্রেও সম্ভবত তাই হয়েছিল বলে গদাধরবাবু জানান। ওই ঘটনার পরে সরোবরের জলে পাম্প করে অক্সিজেন দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেওয়া হয় ওষুধও।
পরিবেশ দফতর সূত্রের খবর, সুভাষ সরোবরের জলে দূষণ আছে কি না, তা দেখতে আগেও সেখানের জল পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু দূষণ পাওয়া যায়নি। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিকাশির জল অথবা কোনও শৌচালয় থেকে সরাসরি নোংরা জল জলাশয়ে পড়লে তা থেকে দূষণের আশঙ্কা সব চেয়ে বেশি। অন্যান্য বর্জ্য থেকেও জলদূষণ হতে পারে। তবে সুভাষ সরোবরে যে সমস্ত শৌচালয় রয়েছে, তার দূষিত জল আলাদা ভাবে ভূগর্ভস্থ নিকাশির মাধ্যমে বের করা হয়। ফলে সেখানে এ ধরনের আশঙ্কা আপাতত নেই।
সুভাষ সরোবরে কেএমডিএ-র প্রায় ১২০ বিঘা জমি বহু বছর ধরে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন’কে লিজ দেওয়া রয়েছে। মাছ ধরা ছাড়াও ওই সরোবরে জলের মান ঠিক আছে কি না, তার দেখভাল করে থাকেন এই সংগঠনের সদস্যেরাই। সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য সুব্রত সেন বলেন, ‘‘জলাশয় পরিষ্কার রাখতে পাম্পের মাধ্যমে এখনও অক্সিজেন দেওয়া চলছে। মাছও তোলা হচ্ছে। তবে মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy