সকালে ঘুম থেকে উঠে দোতলার ঘর লাগোয়া বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধ। হঠাৎই চারতলা বাড়িটির দোতলার বারান্দার একাংশ ভেঙে পড়ল হুড়মুড়িয়ে। রাস্তায় পড়ে গুরুতর জখম হন ওই বৃদ্ধ। কলকাতা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান তিনি।
বুধবার সকালে, বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম লক্ষ্মীপ্রসাদ চৌধুরী। পুলিশ ও কলকাতা পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ঘটনা। তবে বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। ঘটনার খবর পেয়ে আসে দমকল, পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। বারান্দার যে অংশটি বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছিল, তা ভেঙে দেন পুরকর্মীরা।
পুরসভার বিল্ডিং দফতরের এক আধিকারিক জানান, পরিকাঠামো অনুযায়ী ওই বাড়িটি ‘বিপজ্জনক’ না হওয়ায় পুরসভার তরফে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। বাড়িটির নীচে রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম ও দোকান। বাড়িটিতে থাকেন কয়েক ঘর ভাড়াটে। লক্ষ্মীবাবুর ছেলে জ্যোতি চৌধুরী বলেন, ‘‘বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতিতেই এমন ঘটল। তবে দায় কার, তা নিয়ে কিছু বলব না।’’ ভাড়াটেদের একাংশের বক্তব্য, বাড়ির ভিতরের অংশ দেখভালের দায়িত্ব তাঁদের। কিন্তু বাইরের অংশ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বাড়িওয়ালার। বছর দুই আগে একটি লরি বাড়ির নীচে এটিএমে ধাক্কা মেরেছিল। তখনই বাড়ির একাংশে ফাটল ধরে। ভাড়াটেদের অভিযোগ, বাড়িওয়ালাকে বলা সত্ত্বেও তিনি সারানোর ব্যবস্থা করেননি।
বাড়িওয়ালা জয়দেব সাহা বলেন,‘‘লরি ধাক্কা মারায় সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। তার পরেই আমি ওই অংশটি সারাই। তবে এই ধরনের বড় বাড়ির মেরামতির জন্য যে টাকা দরকার, তা জোগাড় করতে পারছি না। ভাড়ার পরিমাণও কম। তা সত্ত্বেও কষ্ট করে কয়েক বছর অন্তর মেরামতি করাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy