Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

‘মারধরের’ জেরে মৃত প্রৌঢ়া, ধৃত ৩ অভিযুক্ত

পুলিশ সূত্রের খবর, একবালপুর থানার ১২/১ ময়ূরভঞ্জ রোডের বস্তি এলাকায় পাশাপাশি বাড়ি, গোরেরাম রাজবংশী এবং রামনিলেশ শর্মার। রবিবার বিকেলে রামনিলেশের ছ’বছরের পুত্র মোহন, গোরেরামের শিশুপুত্র সুরজের সঙ্গে খেলছিল। সেই সময়ে খেলতে খেলতে দুই বাচ্চার মধ্যে হাতাহাতি হয়।

মীনা দেবী

মীনা দেবী

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২৩
Share: Save:

বস্তির দু’টি পরিবারের দুই বাচ্চার মেলামেশাকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। তারই জেরে রবিবার বিকেলে দুই পরিবারের কথা কাটাকাটি রাতে মারামারিতে পরিণত হয়। অভিযোগ, একটি পরিবারের চার জনের মারধরে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ার। মৃতার নাম মীনা দেবী (৫৫)। খুনের অভিযোগে একবালপুর থানার পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ফেরার চতুর্থ অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রের খবর, একবালপুর থানার ১২/১ ময়ূরভঞ্জ রোডের বস্তি এলাকায় পাশাপাশি বাড়ি, গোরেরাম রাজবংশী এবং রামনিলেশ শর্মার। রবিবার বিকেলে রামনিলেশের ছ’বছরের পুত্র মোহন, গোরেরামের শিশুপুত্র সুরজের সঙ্গে খেলছিল। সেই সময়ে খেলতে খেলতে দুই বাচ্চার মধ্যে হাতাহাতি হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, এর পরেই গোরেরাম চিৎকার করতে করতে রামনিলেশের বাড়ি যান। তখন বাড়িতে রামনিলেশ ছিলেন না। কেবল মোহনের দাদু রামেশ্বর শর্মা ও দিদিমা মীনা দেবী ছিলেন। গোরেরামের চিৎকারে তাঁরা দু’জন বাইরে বেরিয়ে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় গোরেরাম মোহনের দাদু ও দিদিমাকে অপমানজনক কথা বলেন। এর পরেই গোরেরামের বাড়ি থেকে নাতিকে আনতে গেলে দুই পরিবারের মধ্যে ফের বাদানুবাদ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিকেলের পর থেকেই পাশাপাশি দুই বাড়ির মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। রাত দশটা নাগাদ দুই পরিবারের মধ্যে আবার তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। রামনিলেশের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, গোরেরাম তাঁর দুই শ্যালক দীপক, শম্ভু ও শাশুড়ি বাচেয়াদেবী রাজবংশীকে নিয়ে রামনিলেশের মা মীনা দেবীর উপরে চ়়ড়াও হন। মৃতার মেয়ে ভারতীদেবীর অভিযোগ, ‘‘চার জনে মিলে কংক্রিটের মেঝেয় ফেলে মাকে বেধড়ক মারধর করেন। ওঁদের মধ্যে ক্যারাটে জানা দীপক হাত দিয়ে মায়ের ঘাড়ে আঘাত করেন। চার জনের আঘাতে মা অচৈতন্য হয়ে মেঝেতে পড়ে যান।’’ অভিযুক্তেরা রামনিলেশের বাবা রামেশ্বর শর্মাকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দশ মিনিট ধরে অভিযুক্তেরা মারধর করে এলাকা ছেড়ে পালান।

এর পরেই রামেশ্বর তাঁর দুই ছেলেকে মোবাইলে খবর দিলে, তাঁরা দ্রুত এসে মীনা দেবীকে একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে মৃতের পরিবারের তরফে একবালপুর থানায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই একবালপুর থানার পুলিশ গোরেরাম, দীপক এবং বাচোয়াদেবীকে গ্রেফতার করে। ফেরার অন্য অভিযুক্ত শম্ভু। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Old Woman Lynching Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE