প্রতীকী ছবি।
নতুন বছরে শিশুশ্রম রুখতে কড়া অবস্থান নিল কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই শহরের একাধিক জায়গায় অভিযান শুরু করেছে তারা। শুধুমাত্র মল্লিকবাজার এলাকা থেকেই গত কয়েক দিনে মোট আটটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। সে রকম ভাবে শনিবারই চারু মার্কেট থানা এলাকার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি গ্যারাজে অভিযান চালিয়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে গ্যারাজের মালিককেও। যদিও অন্য আর একটি কারখানার মালিক ফেরার। তাঁর খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম ইরশাদ খান। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি সিনেমা হলের কাছেই তাঁর গাড়ি সারাইয়ের গ্যারাজ রয়েছে। সেখানে এবং আশপাশে আরও কয়েকটি গ্যারাজে গত কয়েক দিন ধরেই বেশ কয়েকটি শিশুকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছিল। শুক্রবার রাতে এ নিয়ে চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তার ভিত্তিতেই শনিবার দুপুরে অভিযানে নামে পুলিশ।
একটি গ্যারাজে হানা দিয়ে পুলিশ দেখে দুই শিশুকে দিয়ে গাড়ির টায়ার বদলের কাজ করানো হচ্ছে। লরির চাকা ঘাড়ে করে সরানোরও ক্ষমতা তাদের নেই। পুলিশ জানায়, কারখানার মালিক ইরশাদ প্রথমে দাবি করেন দুই শিশু তাঁর আত্মীয়। যদিও পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়েন তিনি। এর পরে ইরশাদের গ্যারাজের পাশের আর একটি গ্যারাজে হানা দেন তদন্তকারীরা। রাজা খান নামে সেই কারখানার মালিক চম্পট দেন তত ক্ষণে।
অভিযোগকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বহু ক্ষেত্রে শিশুশ্রমে যুক্তেরা উদ্ধার হলেও যাঁরা তাদের কাজে লাগান, তাঁদের গ্রেফতার হতে দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে পুলিশ তেমন এক জনকে গ্রেফতার করেছে।’’ যদিও ওই সংগঠনের দাবি, এই পুলিশি অভিযানের খবর হয়তো আগাম পেয়ে গিয়েছিলেন ওই এলাকার গ্যারাজের মালিকেরা। কারণ, অন্তত দশ-বারোটি শিশুকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বলে তারা দেখে এলেও অভিযানের দিন হঠাৎ করেই গ্যারাজগুলিতে শিশুর উপস্থিতি কমে গিয়েছিল। দীপের দাবি, ‘‘শহরের একাধিক এলাকায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এমন আরও ‘নো চাইল্ড লেবার’ অভিযান চালানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy