—প্রতীকী ছবি।
ঘরে শুয়ে ছিলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা। ঘুমের মধ্যেই টের পান, কেউ তাঁর শরীরে থাকা গয়না খোলার চেষ্টা করছে। বৃদ্ধা চিৎকার করতেই দুষ্কৃতী তাঁর গলা টিপে ধরে মারধর শুরু করে। বৃদ্ধার গোঙানির শব্দে ছুটে আসেন পাশের ঘরে থাকা পরিচারিকা। তিনি দেখেন, বিছানায় প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন ওই বৃদ্ধা। আর ঘরে দাঁড়িয়ে এক যুবক। পরিচারিকার চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। তাঁরাই ধরে ফেলেন ওই দুষ্কৃতীকে। চলে গণপিটুনি। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রাজাবাগান থানার আক্রা রোডে। জখম বৃদ্ধার নাম আরফাতুন বিবি। তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধার অবস্থা স্থিতিশীল। অন্য দিকে, লুটের উদ্দেশ্য নিয়ে বৃদ্ধার ঘরে ঢুকলেও তা সফল হয়নি মেহতাব হাসান মোল্লা নামে ওই দুষ্কৃতীর। এলাকাবাসীর হাতে মার খেয়ে সে জখম হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও রাজাবাগান থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মেহতাবকে। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, আরফাতুন একটি ঘরে একাই থাকেন। সঙ্গে থাকেন তাঁর পরিচারিকা। পাশের ঘরে থাকেন পরিবারের অন্য সদস্যেরা। এ দিন সকালে দরজা খুলে পরিবারের এক সদস্য বাইরে যান। পরিচারিকাও ছিলেন না। সেই সুযোগে সাড়ে ৬টা নাগাদ মেহতাব বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে গয়না লুটের চেষ্টা করে। এক অফিসার জানান, দুষ্কৃতী ওই কাজ শুরু করা মাত্র জেগে যান আরফাতুন। তিনি চিৎকার করতেই মেহতাব তাঁর গলা টিপে ধরে ও মারধর করে। ধস্তাধস্তির আওয়াজ পেয়ে পরিচারিকা ছুটে আসেন। তাঁর চিৎকারে মেহতাব পালানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয়েরা ধরে ফেলেন।
পুলিশ জানায়, মেহতাব ওই বৃদ্ধার পূর্ব পরিচিত। সে পোশাক তৈরির কারিগরের কাজ করত। এ দিন মেহতাব ধরা পড়লে শুরু হয় মারধর। রাজাবাগান থানার পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এক পুলিশকর্তা জানান, দুষ্কৃতীকে মারধরে পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy