এ বার গোয়েন্দা-জালে মাদক পাচারের চাঁই। নাইজিরীয় ওই নাগরিককে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের মাদক দমন শাখার গোয়েন্দারা। ধৃতের থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৮ গ্রাম কোকেন, যার বাজারদর কয়েক লক্ষ টাকা।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃতের নাম ডুমডুম কেনেথ কেলি। সে নাইজিরিয়ার লাগোসের বাসিন্দা হলেও সম্প্রতি বিজনেস ভিসা নিয়ে ভারতে ঢুকে দিল্লিতে থাকছিল। সেখান থেকে মাদকের কারবার চালাত কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরে। এজেন্ট হিসেবে কেনেথ ব্যবহার করত ভারতে বসবাসকারী নাইজিরীয়দের। তারাই কলকাতার বিভিন্ন খদ্দেরের কাছে ওই মাদক পৌঁছে দিত।
সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়েছিল। চক্রের বাকি সদস্যদের নাম জানার জন্য তাকে জেরা করা প্রয়োজন,
এই মর্মে আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। বিচারক ধৃতকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।’’
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মাদক পাচারের অভিযোগে চলতি বছরেই কলকাতা থেকে গ্রেফতার হয়েছে একাধিক নাইজিরীয়। তাদের মধ্যে রয়েছে কলকাতা ময়দানে খেলে যাওয়া ফুটবলার কেলভিন চিনাডু এবং ইমানুয়েলও। পুলিশ
সূত্রের খবর, শহরে খেলতে এসে নাইজিরীয় ফুটবলারদের মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়া নতুন নয়। সার্ভে পার্ক এলাকা থেকে ধরা হয়েছিল কেলভিন চিনাডুকে। তার কাছে মিলেছিল কোকেন। কেলভিনকে জেরা করে খোঁজ মেলে ইমানুয়েলের। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল হাজরা থেকে।
তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা আরও জেনেছেন, ধৃত প্রাক্তন ফুটবলারেরা সকলেই ছিল মাদক পাচারের এজেন্ট। তারা কেনেথের থেকে মাদক এনে কলকাতায় খদ্দেরের কাছে পৌঁছে দিত। গত কয়েক বছর ধরেই সক্রিয় ছিল এই পাচার-চক্র। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, কেনেথ বিদেশ থেকে ওই মাদক নিয়ে আসত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy