Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সেনা হাসপাতাল চত্বরে জলে ডুবে শিশুমৃত্যু, স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

বেহালা শীলপাড়ার বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী শুভজিৎ ঘোষ বুধবারই তাঁর সন্তানের মৃত্যুর পর স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছিলেন।

সম্বুদ্ধ ঘোষ।—নিজস্ব চিত্র।

সম্বুদ্ধ ঘোষ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০:১৮
Share: Save:

সেনা হাসপাতাল চত্বরের স্কুলে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হল আলিপুর থানায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত ছাত্রের বাবা শুভজিৎ ঘোষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সেনার কমান্ড হাসপাতাল চত্বরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের একটি স্কুল রয়েছে। মূলত আর্মি ওয়াইভস্ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনওই স্কুলটি চালান। সেখানে সেনা পরিবার ছাড়াও বেসামরিক ব্যক্তিরাও তাঁদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে পড়ানোর সুযোগ পান। সেই স্কুলেই বুধবার দুপুরে জলে ডুবে মৃত্যু হয় পাঁচ বছরের সম্বুদ্ধ ঘোষের।

বেহালা শীলপাড়ার বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী শুভজিৎ ঘোষ বুধবারই তাঁর সন্তানের মৃত্যুর পর স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছিলেন। শুভজিৎ বলেন জানিয়েছেন বুধবার ছিল স্কুলে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতা শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি স্কুলেই ছিলেন। তার পর তিনি ছেলেকে ক্লাস টিচার কাকলি চৌধুরীর হাতে দিয়ে স্কুল ছাড়েন। অভিযোগ, স্কুল থেকে চলে আসার ১০ মিনিট পরই অন্য এক অভিভাবক তাঁকে ফোন করেন। দ্রুত স্কুলে ফিরে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত স্কুল লাগোয়া হাইড্রো থেরাপির পুলে পাওয়া যায় সম্বুদ্ধের নিথর দেহ।

দোষীদের শাস্তির দাবিতে মোমবাতি হাতে কমান্ড হাসপাতালের সামনে অভিভাবকরা।—নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: স্কুলেই জলে ডুবে মারা গেল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু​

আরও পড়ুন: ‘দেশভক্ত’দের বেধড়ক মারে রক্তাক্ত, তবু বাংলা ছাড়বেন না কাশ্মীরের শাল বিক্রেতা জাভেদ​

এ দিন আলিপুর থানায় করা লিখিত অভিযোগে শুভজিৎ তাঁর ছেলের মৃত্যুর জন্য স্কুলের অধ্যক্ষা, সহকারি অধ্যক্ষা এবং ক্লাস টিচারকে সরাসরি দায়ী করেছেন। শুধু এই তিনজনই নন, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকেও দায়ী করেছেন।

ঘটনায় গাফিলতির জন্য দায়ী যাঁরা তাঁদের কঠোর শাস্তি চেয়ে স্কুলের সামনে মোমবাতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। এ দিন শুভজিৎ এবং তাঁর আত্মীয় রাজীব ভট্টাচার্য বলেন,“আমরা দোষীদের শাস্তি চাই। এ গাফিলতির কোনও ক্ষমা নেই। সেই আর্জি জানিয়েই আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”পুলিশ সূত্রে খবর, তারা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে। তারা প্রাথমিক তদন্ত করে সেই অনুযায়ী পরবর্তী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE