হাসপাতালে রাকেশ।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর অসুস্থ এগারো বছরের বালককে ভর্তি করতে চায়নি দু’-দু’টি সরকারি হাসপাতাল। তৃতীয় হাসপাতালটি তাকে ভর্তি করলেও এতটাই অবহেলা করেছে যে, শিশুর ডান হাত পচে গিয়ে বাদ যেতে বসেছে! এই অভিযোগ তুলে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এবং এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বালকের আত্মীয়েরা।
ছাদে খোলা বিদ্যুতের তারে লেগে ৫ মার্চ ডান হাত মারাত্মক পুড়ে গিয়েছিল নিমতার বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাকেশ মণ্ডলের। তার দাদু বাপি চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, প্রথমে সাগর দত্ত ও পরে আরজিকরে নিয়ে গেলে তারা জানায়, এই চিকিৎসা সেখানে হবে না। তাঁরা ছোটেন নীলরতনে। বাপিবাবুর কথায়, ‘‘সেখানেও ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করতে চাননি চিকিৎসকেরা। শেষে মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে রাকেশকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়।’’ অভিযোগ, ৭ মার্চ তাকে আইসিইউ থেকে নিয়ে পেডিয়াট্রিক সার্জারিতে রাখা হয়। কিন্তু ১৩ তারিখ পর্যন্ত কার্যত চিকিৎসাই হয়নি। হাতের ঘা থেকে দুর্গন্ধ ও জল বেরোতে থাকে। ১৪ মার্চ রাকেশকে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু ১৭ তারিখ পর্যন্ত অবস্থার উন্নতি হয় না। শেষে ১৮ মার্চ চিকিৎসকেরা জানান, ২০ তারিখ হাত বাদ দিতে হবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি। সুপার হাসি দাসগুপ্ত বলেন, ‘‘তেমন ভাবে বিদ্যুতে হাত বা পা পুড়ে গেলে অঙ্গ বাঁচানো অনেক সময়ে সম্ভব হয় না।’’ তবে এ দিন অস্ত্রোপচার হয়নি। কোনও ভাবে হাত বাঁচানো সম্ভব কি না, দেখতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার মত জানাবে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy