—ফাইল চিত্র।
শনিবারের পরে রবিবার। বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এর পরে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এসএসকেএম হাসপাতালের শৌচাগারে।
রবিবার গভীর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালের সিটিভিএস (কার্ডিওথোরাসিক ভাস্কুলার সার্জারি) বিভাগের দোতলার শৌচাগার থেকে এক রোগীকে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ এসে শৌচাগারের দরজা ভেঙে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তাঁকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কার্তিক মিস্ত্রি (৫৬)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুরের কোদালিয়ায়।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১ জুলাই কার্তিকবাবু এসএসকেএমে ভর্তি হন। সোমবার তাঁর বাইপাস সার্জারি হওয়ার কথা ছিল। শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ তিনি সিটিভিএস ওয়ার্ডের দোতলার শৌচাগারে যান। অন্য কয়েক জন রোগী শৌচাগারের সামনে দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করার পরে দরজার ফাঁক দিয়ে ভিতরে দেখার চেষ্টা করেন। তখনই কার্তিকবাবুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সিটিভিএস ওয়ার্ডের দোতলায় ভর্তি থাকা অন্য রোগীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, কার্তিকবাবু অস্ত্রোপচার করাতে ভয় পাচ্ছিলেন। বাড়ির লোকদের সে কথা জানিয়েছিলেন। অন্য রোগীদের দাবি, বাড়ির লোক তাঁর কথা না শোনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কার্তিকবাবু। ভবানীপুর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতের পরিবারের লোকেদের।
শনিবার বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এর শৌচাগার থেকে হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা, অম্বরীশ দে (৫৮) নামে এক রোগীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরপর দু’টি হাসপাতালের শৌচাগারে একই ভাবে রোগীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের একাংশের দাবি, বারবার যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যদিও এসএসকেএম হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শৌচাগারে কখনও নজরদারি করা যায় না। শৌচাগার ছাড়া হাসপাতালের অন্য জায়গায় রোগীর গতিবিধি যথাযথ ভাবে নজরে রাখা হয়। এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, তার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy