এমনই বেহাল দশা। নিজস্ব চিত্র
গ্রামকেও হার মানাবে!
খিদিরপুর পার হয়ে বাস্কুল ব্রিজ টপকে একটু এগিয়ে বাঁ দিক ঘেঁষে চোখে পড়বে কোল বার্থ রোড। দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার ওড়িয়াপাড়ার এই বস্তিতে প্রায় হাজার দুয়েক লোকের বাস। কিন্তু এই এলাকার বাসিন্দারা সুষ্ঠু নাগরিক পরিষেবা থেকে এখনও বঞ্চিত বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন।
ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, চার দিকে খোলা নর্দমা। সেই জলে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। নর্দমা থেকেই ময়লা খুঁটে খেতে ব্যস্ত হাঁস, মুরগি, শুয়োর। রাস্তা বলতে কিছুই নেই। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যেতে হলে লাফিয়ে পেরোতে হয় খোলা নর্দমা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খোলা নর্দমার কারণে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। ওড়িয়াপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই এলাকায় হাঁটাচলা করা যায় না। বাসিন্দা রামু সোনকারের অভিযোগ, ‘‘আমাদের এখানে খোলা নর্দমা থাকায় দুর্গন্ধে ঘরে থাকা খুবই কষ্টকর। স্থানীয় কাউন্সিলরকে এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেও কাজ হয়নি।’’
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, নর্দমার চারপাশে শুয়োর চড়ে বেড়াচ্ছে। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘‘মশা আর শুয়োর থেকে কত অসুখ হয়। অথচ এখানে মশা এবং শুয়োরের অবাধে চাষ হচ্ছে, তবু কোনও হেলদোল নেই কাউন্সিলরের!’’
কলকাতা পুরসভা ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত ওড়িয়াপাড়ার কোলবার্থ রোডের এমন বেহাল অবস্থা কেন? স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রামপিয়ারী রামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এলাকাটি কলকাতা বন্দরের এলাকা। বন্ধর কর্তৃপক্ষ আপত্তি করায় পুরসভার তরফে কাজ করতে গেলেও একাধিক বার সমস্যা হয়েছিল।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পোর্ট ট্রাস্টের বর্তমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি ওড়িয়াপাড়ায় পুরসভাকে কাজ করতে দিতে সম্মত হয়েছেন। কাজ শুরুও হয়েছে। দ্রুত শীঘ্রই সমধান করা যাবে।’’
কলকাতা বন্দরের তরফে জানানো হয়েছে, কোলবার্থ রোডে নিকাশি সংস্কারের কাজের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কলকাতা বন্দরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই প্রকল্পের কাজ কলকাতা পুরসভাই রূপায়িত করবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ পুরসভাকে আর্থিক সহায়তা করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy