প্রতীকী ছবি।
সল্টলেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকে অসংখ্য গাড়ি। কখনও ফুটপাতেও গাড়ি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ শোনা যায়। এর ফলে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যায়।
অভিযোগ, সল্টলেকে বিভিন্ন রাস্তায়, এমনকি ব্লকের ভিতরের রাস্তাতেও দিনভর গাড়ি দাঁড় করানো থাকে। বাইরের গাড়ির পাশাপাশি আবাসিকদের গাড়িও থাকে সেখানে।
এক নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বসুর কথায়, ‘‘অনেকের বাড়িতেই একাধিক গাড়ি রয়েছে। সব গাড়ি গ্যারাজে রাখা যায় না। তাই ফুটপাতেই গাড়ি রেখে দেন।’’ বাসিন্দাদের মতে, সল্টলেকে যে ভাবে গাড়ির চাপ বাড়ছে, তাতে পার্কোম্যাট কিংবা একত্রে অনেক গাড়ি থাকতে পারে এমন স্থায়ী ব্যবস্থার প্রয়োজন।
পিএনবি-র মোড় থেকে বৈশাখী মোড়, ১৩ নম্বর ট্যাঙ্ক, আইবি ব্লকের একটি শপিং মল সংলগ্ন রাস্তা, জিডি আইল্যান্ডমুখী রাস্তা, সল্টলেকের অফিসপাড়া-সহ তিনটি সেক্টরের বিভিন্ন ব্লকের অলিগলিতে গাড়ি দাঁড় করানো থাকে। এ সবের জেরে অনেক সময়েই যানজট হয়।
অন্য দিকে, বিভিন্ন ব্লকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেসরকারি অফিস, এটিএম, ব্যাঙ্ক, রেস্তরাঁ চলে। তাই সল্টলেকের মূল অফিসপাড়া এলাকা ছাড়াও বর্তমানে গাড়ির ভিড় বাড়ছে আবাসিক ব্লকগুলিতেও।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, পার্কিং ব্যবস্থাকে একটি সুশৃঙ্খল অবস্থায় আনতে গোটা পুরএলাকাকে বিভিন্ন জ়োনে ভাগ করে সেখানে প্রয়োজন অনুসারে পার্কিং লট তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ জানান, শৃঙ্খলাবদ্ধ উপায়ে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা নিয়ে পুরসভা পরিকল্পনা তৈরি করবে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পার্কিং লটের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। ফলে নতুন করে পুরসভাকে ভাবতে হবে। যদিও মূল রাস্তার ধারে যত্রতত্র পার্কিং অনেকটাই বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করছে বিধাননগর পুলিশের আধিকারিকেরা।
উল্টো দিকে, পুর প্রশাসনের একাংশের কথায়, যত্রতত্র পার্কিং চালু করলে আবার বাসিন্দাদের অভিযোগও আসছে। যেমন, ৩ নম্বর সেক্টরের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সামান্য সময়ের জন্য দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছি। তাতেও পার্কিং ফি দিতে হয়েছে।’’
পুর কর্তৃপক্ষের একাংশ জানান, যত্র তত্র পার্কিং করা হলে গাড়ি চলাচলের সমস্যাও বাড়ে। তবে পার্কিং ফি থেকে পুরসভার আয় হয়, সেটাও ঠিক। ফলে সব দেখে পুলিশের পরামর্শ মেনে পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy