বিসর্জন: গঙ্গায় মদ ঢালছেন এক প্রবীণ। বুধবার। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
তিনি পতিতপাবনী! সর্বংসহাও বটে! তা বলে বোতলের ঝাঁঝালো তরলও হজম করে ফেলেন? না কি এ কোনও বিচিত্র পুজোর উপচার? বাবুঘাটের কাছে গঙ্গায় এই প্রশ্নগুলিই উস্কে দিলেন জনৈক প্রবীণ।
বুধবার বিকেলে ওই প্রবীণ দাঁড়িয়েছিলেন গঙ্গার দিকে মুখ করে। তাঁর ছেলের বয়সি এক জন হাতে-হাতে কয়েকটি বোতল এগিয়ে দিলেন। বৃদ্ধ বোতল কপালে ঠেকিয়ে নমস্কার করলেন। কাকে? বোতলের তরল না নদীকে? ছিপি খোলা হল। গঙ্গার জলে মিশে গেল সস্তার হুইস্কি ও রামের ধারা। ধর্ম থেকে জিরাফ— সব ধরনের বর্জ্যের ভিড়ে কলকাতার মলিনরঙা গঙ্গায় প্রতিমার কাঠামোর মতো ভাসতে থাকল শূন্য বোতলও।
সরযূতে রামচন্দ্রের প্রাণপ্রিয় ভাই লক্ষ্মণকে বিসর্জন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুজোর উপচারে নদীতে বিসর্জনের যোগ কিন্তু আবহমান কালের। তা বলে গঙ্গায় কারণ-বারি মেশানোর রীতি নেই বলেই দাবি প্রবীণ পুরোহিতদের! তা হলে, কেন এই উদ্ভট খেয়াল বৃদ্ধের?
জন্মের মতো মদ্যপানের অভ্যাসটিকে বিদায় জানালেন প্রবীণ
কারও কারও ধারণা, প্রবীণ মানুষটি হয়তো জন্মের মতো মদ্যপানের অভ্যাসটিকে বিদায় জানালেন। গঙ্গার কাছেই উৎসর্গ করলেন সংগ্রহের রাম-হুইস্কির বোতল। কারও চোখে, এই দৃশ্যে সরস আমেজ! ঘটা করে গঙ্গায় ফেলে মদ ছাড়ার অনুষ্ঠান যদি করতেই হয়, তবে আর একটু দামি তরল ঢালাই কি ভাল ছিল না? তবে মদ বিসর্জন দিয়েই ওই প্রবীণ ওই তল্লাট ছেড়ে যান। চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy