Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘অন্য’ পথে বিজ্ঞাপন থেকে কর আদায়ের পরিকল্পনা

পুরসভা সূত্রে খবর, বিজ্ঞাপন কর বলে না দেখিয়ে লাইসেন্স ফি, বিজ্ঞাপন লাগানোর অনুমতি ফি, পুরসভার জমি ব্যবহার ইত্যাদি দেখিয়ে আপাতত ওই টাকা পুর-ভাঁড়ারে ঢোকানোর পথ খোঁজা হচ্ছে।

অনুপ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৮ ০২:২৮
Share: Save:

বিজ্ঞাপন কর বাবদ বছরে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আদায় হত কলকাতা পুরসভার। কিন্তু কেন্দ্রের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বিজ্ঞাপন বাবদ কর নিতে পারবে না দেশের কোনও পুর সংস্থা বা স্থানীয় প্রশাসন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে পুর প্রশাসনের। করের টাকা অন্য কী ভাবে আদায় করা যেতে পারে, খোঁজ চলছে সেই পথেরই। গত সোমবার মেয়র পরিষদ বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয়।

পুরসভা সূত্রে খবর, বিজ্ঞাপন কর বলে না দেখিয়ে লাইসেন্স ফি, বিজ্ঞাপন লাগানোর অনুমতি ফি, পুরসভার জমি ব্যবহার ইত্যাদি দেখিয়ে আপাতত ওই টাকা পুর-ভাঁড়ারে ঢোকানোর পথ খোঁজা হচ্ছে। এ নিয়ে বুধবার মহাকরণে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর ঘরে বৈঠকও করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মেয়র পারিষদ-সহ বিজ্ঞাপন বিভাগের পদস্থ কর্তারা। জানা গিয়েছে, জুলাইয়ে বিধানসভা অধিবেশনে পুর আইনের প্রয়োজনীয় সংযোজন, বিয়োজন করা হবে। সংবিধান মাথায় রেখে ওই টাকা আদায়ের খসড়াও তৈরি করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন দফতরের এক কর্তা জানান, দেশে জিএসটি চালু হওয়ার পরে সংবিধানের কিছু অংশে বদল করা হয়। সেখানে যে ধারায় বিজ্ঞাপন কর আদায়ের বিষয়টি ছিল, তা বাতিল হয়। সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় সরকার নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, বিজ্ঞাপন বাবদ কেন্দ্র, রাজ্য বা কোনও পুর সংস্থা কর আদায় করতে পারবে না। নির্দেশ আসতেই সমস্যা বাড়ে কলকাতা পুর প্রশাসনের। কারণ করের একটা বড় অংশ বিজ্ঞাপন থেকেই আসে।

ওই বৈঠকে একাধিক মেয়র পারিষদ জানান, পুরসভার জায়গায় বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা আয় করছে বিভিন্ন সংস্থা। অথচ পুরসভার আয় হচ্ছে না। বিজ্ঞাপনের ভিড়ে সৌন্দর্যায়নও বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই কর হিসেবে না হলেও অন্য পথে বিজ্ঞাপন থেকে যাতে পুরসভার আয় আসতে পারে, সে ব্যবস্থা করা দরকার। এক আমলা জানান, প্রথমেই পুর আইনে বিজ্ঞাপন কর বাবদ যে ধারা রয়েছে (২০২ থেকে ২০৮) তা বিয়োজন করতে হবে। তার পর কী ভাবে টাকা পুরসভায় আসতে পারে, সে জন্য আইনে সংযোজনও দরকার। পুর বৈঠকের পরেই মহাকরণে তা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে রাজ্য সরকারের এক পদস্থ অফিসার জানান, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিরা দিন কয়েকের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। রাজ্যের পুর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বিজ্ঞাপন কর উঠে যাওয়ায় তাঁদের কোষাগারে যে টান পড়ছে, তা জানানো হবে অর্থ কমিশনের কাছেও। দাবি করা হবে, ওই টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পুর প্রশাসনগুলোকে দিক কেন্দ্র সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Advertisement tax KMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE