মনোজ খান্ডেলওয়াল
গিরিশ পার্কের ব্যবসায়ীকে অপহরণের তদন্তে নেমে আন্তঃরাজ্য চক্রের যোগ পাচ্ছে পুলিশ। পাঁচ ধৃতকে শনিবারও হেফাজতে পায়নি কলকাতা পুলিশ। তবে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, বিহারের লক্ষ্মীসরাই থেকেই ব্যবসায়ী মনোজ খান্ডেলওয়ালকে অপহরণের ছক কষা হয়েছিল। মূল চক্রী হিসেবে উঠে এসেছে সেখানকার বাসিন্দা রঞ্জিত মণ্ডলের নাম। পুলিশ মহলে যে পরিচিত ‘অপহরণ ব্যবসায়ী’ নামে!
পুলিশ সূত্রের দাবি, একাধিক অপহরণে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে রঞ্জিতের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে হরিয়ানার এক সাংসদের আত্মীয়কে সে অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ। বিহার পুলিশ পিপারিয়া জঙ্গল থেকে তার দলের প্রায় ১১ জনকে গ্রেফতার করে। তবে রঞ্জিত ছিল অধরা। গিরিশ পার্কের ঘটনার পরে কি রঞ্জিতকে ধরতে পারবে পুলিশ? কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রয়োজনে লক্ষ্মীসরাইয়ে গিয়ে তদন্ত করা হবে। সাহায্য করবে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটও।
গত বুধবার রাতে গিরিশ পার্ক এলাকা থেকে পাঁচ দুষ্কৃতী মনোজকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। কলকাতায় গাড়ি বদলানোর সময়ে মনোজের গাড়ির চালক পালিয়ে গিয়ে পুলিশে জানান। বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুরের দেন্দুয়া মোড়ে নাকা তল্লাশির সময়ে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্তেরা। উদ্ধার হন মনোজ।
বিপদ বুঝেও নাকা তল্লাশির রাস্তায় গেল কেন অপহরণকারীরা? আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস জানান, ধৃতেরা জানিয়েছে, ডুবুরডিহি চেকপোস্টে নাকাবন্দি থাকবে বলে তারা নিশ্চিত ছিল। তাই দু’নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ডান দিকে চিত্তরঞ্জন রোড ধরে রূপনারায়ণপুর হয়ে ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেখানেও যে তল্লাশি চলতে পারে, তা তারা ভাবেনি। ওই ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা ফোনে এক ব্যক্তির নির্দেশ শুনে গাড়ি চালাচ্ছিল। তিনি শুনেছিলেন, মিহিজামের কাছে গাড়ি পাল্টে লক্ষ্মীসরাই যাওয়া হবে।
পুলিশের কাছে এখন বড় প্রশ্ন, ফোনের ও পার থেকে কি নিজেই সব নিয়ন্ত্রণ করছিলেন রঞ্জিত? কলকাতা পুলিশ জানাচ্ছে, ২৮ তারিখ পর্যন্ত ধৃতদের জেল হেফাজত রয়েছে আসানসোলে। তাদের হেফাজতে নিয়ে রহস্যের জট খোলা হবে একে একে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy