তোলাবাজি-কাণ্ডে গ্রেফতার হন তৃণমূল কাউন্সিলর সুভাষ বসুর ‘ঘনিষ্ঠ’ রাজু সিংহ।
তোলাবাজি-কাণ্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর সুভাষ বসুর ‘ঘনিষ্ঠ’ রাজু সিংহকে গ্রেফতারের পরে এ বার ‘প্রশ্রয়দাতার’ খোঁজে বিধাননগর কমিশনারেটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
পুলিশ জানায়, তেঘরিয়ায় রাজারহাট রোডের ধারের একটি আবাসনের একতলায় কফি শপের জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন ডেভেলপার অজয় অমল সিংহ। পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় বহুজাতিক সংস্থার কফি শপটিতে ৬ নভেম্বর রাজু ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ডেভেলপারকে ভয়ও দেখান অভিযুক্ত। যার প্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এর পরেই রাজুকে প্রথমে আটক, পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগে জানান, এর আগে একাধিক বার রাজু তাঁর কাছ থেকে তোলা চেয়েছেন। ভয়ে কয়েক বার রাজুর দাবি মেনে তিনি টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু কফি শপের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা চাওয়া হলে তিনি থানার দ্বারস্থ হন।
এ দিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে রাজু দাবি করেন, ‘‘ওই ডেভেলপারের বিল্ডিংয়ে ঢালাইয়ের কাজ করেছি। এ জন্য আমার সঙ্গে ডেভেলপারের চুক্তিও রয়েছে। বকেয়া টাকা চাওয়ায় ফাঁসানো হল। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানোর বিষয়টিও মিথ্যা।’’ অজয় বলেন, ‘‘আমার যা বলার পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশের উপরে ভরসা রয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
তদন্তকারীদের বক্তব্য, রাজুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তার পিছনে কারও মদত ছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হতে পারে। বুধবার বিধাননগর পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুভাষ বলেন, ‘‘রাজু দলের কোনও পদে ছিলেন না। তৃণমূল সমর্থক হিসেবে মিটিং-মিছিলে থাকতেন। কিন্তু কে কী করছে, সে সব খবর আমার জানা অসম্ভব! তবে অজয়বাবু রাজুর কথা আমাকে জানালে ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম।’’ অন্য দিকে আবার তিনি জানাচ্ছেন, ওয়ার্ড অফিসে ডেকে তিনিই রাজুকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy