এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। ধৃতের নাম নিত্যানন্দ প্রামাণিক।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে নিজের ঘর থেকে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম সুতপা প্রামাণিক (২৫)। এক মাস আগে মধ্যমগ্রামের কৈপুলের বাসিন্দা নিত্যানন্দের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুতপাদেবীর। তাঁর বাপেরবাড়ির লোক পুলিশে অভিযোগে জানিয়েছেন, পণের দাবিতে বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার চলছিল সুতপাদেবীর উপরে। সে কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সুতপাদেবীর বাপের বাড়ি রাজারহাটের গলাশিয়াতে। তাঁর দাদা সঞ্জয় বিশ্বাস জানান, নিত্যানন্দের পরিবারের দাবি মেনে বিয়ের সময়ে আসবাবপত্র এবং যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহ পরেই বাপের বাড়ি বেড়াতে এসে সুতপা জানিয়েছিলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা টাকা চাইছেন। সঞ্জয় তাঁকে জানিয়েছিলেন, বিয়েতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। দিন কয়েক কাটলে টাকার ব্যবস্থা করবেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগে এসে ফের টাকার কথা বলেন সুতপাদেবী। সঞ্জয় তাঁকে জানান, কয়েক দিন পরে তিনি টাকা দিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সঞ্জয় বলেন, “শনিবার সকালে বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোনে আমাদের ডাকা হয়। বলা হয়, বোন দরজা খুলছে না। আমরা না গেলে দরজা ভাঙতে পারছেন না তাঁরা। গিয়ে দেখি, ঘরের দরজা ভাঙা হয়ে গিয়েছে। বোনের দেহ ঝুলছে। কিন্তু তাঁর হাঁটু বিছানায় ঠেকানো রয়েছে। টাকার জন্যই বোনকে খুন করা হয়েছে।” সুতপাদেবীর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy