বীজপুরে নকল আইসক্রিম বাজেয়াপ্ত করল রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।-নিজস্ব চিত্র।
বাইরে কাঠফাটা রোদ্দুর। আর আপনি রেস্তরাঁয় বসে বান্ধবীর সঙ্গে আইসক্রিমের স্বাদ নিচ্ছেন। আপনার হয়তো বিরিয়ানি বা চেলো কাবাব পছন্দের। কিন্তু বান্ধবীর আবার আইসক্রিম ছাড়া চলে না। তাই ঘুরতে বেরোলে প্রিয়জনের মন রাখতে এক বার অন্তত আইসক্রিম চেখে দেখতেই হয়।
অনেকের আবার ফ্রিজেই মজুত থাকে আইসক্রিমের ভাণ্ডার। ভ্যানিলা, চকোলেট, দু-ইন-ওয়ান, আরও কত কী! ইচ্ছে করলেই ফ্রিজের দরজা খুলে আইসক্রিম নিয়ে বসে পড়তে দেখা যায়।
এই শহরে আইসক্রিম বিলাসিতার লোক কম নেই। এত দিনে দুধ, ঘি, মাখনে ভেজালের খবর আমরা জেনে গিয়েছি। মাছে ফরমালিন, পচা মাংস এ সবও দেখা হয়ে গিয়েছে। এ বার নামী কোম্পানির মোড়কে ‘নকল আইসক্রিম’ বিক্রির জাল কারবারের হদিশও মিলল। দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের কারবার চলেছে বলে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (ইবি) অনুমান।
আরও পড়ুন: ভয়াল রূপ নিচ্ছে কেরলের বন্যা, মৃত্যু ৩০০ ছাড়াল, যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি কলকাতার নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটে হানা দিয়ে প্রথমে দীনেশ ভরদ্বাজ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইবি। তাঁকে জেরা করে উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরে একটি কারখানার হদিশ মেলে। মালিক পালিয়ে গেলেও, জালে পড়েছে ম্যানেজার পার্থ পৈতন্ডি। বীজপুরে প্রায় ১০ কাঠা জমিতে রীতিমতো ফ্যাক্টরি বানিয়ে চলছিল নকল আইসক্রিম তৈরির কারখানা। ওই কোম্পানির ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকটি জায়গার হদিশ মিলেছে। যদিও তদন্তের প্রয়োজনে এখনই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না পুলিশ আধিকারিকেরা।
বীজপুরের এই কারখানাতেই তৈরি হচ্ছিল নকল আইসক্রিম। নিজস্ব চিত্র।
তাঁদের অনুমান, এই চক্র রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। নামী কোম্পানির মোড়কে, সেখানে জাল আইসক্রিম ভরে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারী দলের এক অফিসার বলেন, “ঠিক যে ভাবে নামী জল প্রস্তুতকারক কোম্পানির ল্যাবেল, বোতলের নকশা নকল করে, অপরিশ্রুত জল বিক্রির কারবার চলছে। তেমনই এ ক্ষেত্রেও একই কায়দায় কারবার চলছিল। কলকাতা এবং বাইরের কয়েকটি রাজ্য থেকে নকল মোড়ক কিনে আনছেন এখানকার অসাধু ব্যবসায়ীরা। তার পর নকল আইসক্রিম বানিয়ে তাতে ভরে দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: বাজপেয়ীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসে আক্রান্ত স্বামী অগ্নিবেশ
ওই অফিসারের আরও বক্তব্য, এই আইসক্রিম যাঁরা খাচ্ছেন, তাদের শরীরও খারপ হতে পারে। কারণ, নামী কোম্পানিগুলো যে উপকরণ দিয়ে আইসক্রিম বানায়, সেই উপকরণ দিয়ে ভেজাল আইসক্রিম বানানো সম্ভব নয়। মুনাফা করতে শুধু ফ্লেভার দিয়েই নিকৃষ্ট উপকরণে বানানো হচ্ছে আইসক্রিমগুলো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy