Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

খড়দহে দুষ্কৃতীরা এখনও অধরাই

খড়দহে সোনা বন্ধক রাখা সংস্থার ডাকাতির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। পুলিশ জানায়, আলোর বিপরীতে ক্যামেরা থাকায় ফুটেজে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বোঝা গেলেও অবয়বগুলি অস্পষ্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০১
Share: Save:

খড়দহে সোনা বন্ধক রাখা সংস্থার ডাকাতির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। পুলিশ জানায়, আলোর বিপরীতে ক্যামেরা থাকায় ফুটেজে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বোঝা গেলেও অবয়বগুলি অস্পষ্ট।

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (২) ধ্রুবজ্যোতি দে-র বক্তব্য, ‘‘ফুটেজ থেকে বোঝা যাচ্ছে, দুষ্কৃতীরা সংস্থার তিন কর্মীর পিছনে ঢুকে পড়েছিল। লুঠেও বেশি সময় নেয়নি।’’ সংস্থার কর্মী ও রক্ষীদের বয়ান এবং কিছু অনুমানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সংস্থার অভিযোগ, প্রায় ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকার সোনা চুরি গিয়েছে।

শনিবার খড়দহের অরুণাচলে সোনা বন্ধক রাখার ওই সংস্থায় হানা দিয়ে সোনা ও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ব্যারাকপুরে পর পর ডাকাতি ও ডাকাতির চেষ্টায় প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের যোগ পেয়েছে পুলিশ। দু’-এক জন ধরা পড়লেও বেশিরভাগই বাংলাদেশে পালিয়েছে। পুলিশ জানায়, আগে থেকেই রেইকি করে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। নিরাপত্তারক্ষী শেখ সাহাবুদ্দিন ও অন্য কর্মী বিশ্বজিৎ দাস জানান, দুষ্কৃতীরা বাঙাল ভাষায় কথা বলছিল। পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশি যোগ থাকতে পারে।

ওই দিন শর্বরী ঘোষ নামে এক আমানতকারীর মাথায় আঘাত করে এক দুষ্কৃতী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় এক জন। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্র বলেন, ‘‘গুলির চিহ্ন মেলেনি।’’ ফুটেজে দেখা গিয়েছে, শর্বরীদেবীকে আঘাতের সময়ে দুষ্কৃতীর অস্ত্র থেকে আলো বেরোচ্ছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার পরে বাইকে চেপে তিন দুষ্কৃতীকে রহড়ার রাস্তা দিয়ে পালাতে দেখেন কিছু বাসিন্দা। ব্যারাকপুর-বারাসত মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Khardah Police Robbery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE