রবীন্দ্র সরোবরের এই ছটপুজোয় প্রশাসন কার্যত দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে শেষ পর্যন্ত মামলা দায়ের করল পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ছ’টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেচে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে সাউন্ড বক্স ও ২৫ কেজি বাজি। বছর জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে ছটপুজো হয়।
প্রশাসন কার্যত দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই বিশয়ে পরিবেশকর্মী থেকে শুরু করে প্রাতঃভ্রমণকারীরা আপত্তি জানিয়েছিলেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। কিন্তু তার পরেও সরোবরে ছটপুজো হয়েছে।
জলে পুণ্যার্থীদের নামতে মই বাড়িয়ে দিয়েছিল প্রশাসনের লোকজনই। শুধু তাই নয়, গাছে গাছে হ্যালোজেন আলো লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এম কি দেদার ফেটেছে শব্দবাজি।
আরও পড়ুন: বহুতল থেকে পড়ে মৃত মা, জখম মেয়ে ও নাতনি
‘মায়ের কাছে যাব’, কেঁদেই চলেছে মৃতার একরত্তি মেয়ে
এই ভাবেই রবীন্দ্র সরোবরে দিনভর চলল ছট পুজো। —নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যে যাঁর মতো এলাকাও ঘিরে ছট পুজো করেন। জলের মধ্যে দুধ-তেল, ফুল, বেলপাতা-সহ বিভিন্ন সামগ্রীও মিশে যাওয়ায় জল দূষণ হয়েছে বলে দাবি পরিবেশকর্মীদের। জীব-বৈচিত্রে তার প্রভাবও পড়েছে।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এর বিকল্প হিসেবে আদিগঙ্গা এবং মহানগরের অন্যান্য জলাশয়ে ছটপুজো পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে ‘কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নজররাখতেও বলা হয়েছিল। তার পরেও কেন রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর উপাচারের আয়োজন হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করার পরেই মামলা রুজু করল পুলিশ।
(শহরের প্রতি মুহূর্তের সেরাবাংলা খবরজানতে পড়ুন আমাদেরকলকাতাবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy