স্কুলে পাঁচ বছরের শিশুর যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। সোমবার, আলিপুর আদালতে।
গত ১০ অক্টোবর নার্সারির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুল চত্বর। স্কুল ভাঙচুরের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর করার অভিযোগও ওঠে। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় দীপক কর্মকার নামে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক আপাতত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শর্তাধীন জামিনে রয়েছেন। এ দিন ওই শিক্ষককে পকসো আইনে অভিযুক্ত করে
লেক থানার তদন্তকারীরা ওই চার্জশিট জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে চার্জশিটে জানানো হয়েছে, অভিযোগকারী শিশুটির মা রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
চার্জশিটে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ঘটনাটি ৯ অক্টোবর সামনে এলেও তা ঘটেছিল ২৬ সেপ্টেম্বরে স্কুলের ভিতরে। অভিযোগ, ওই দিন সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে আটটার ভিতরে স্কুলের মধ্যে ১০ নম্বর ঘরে শিশুটিকে নিয়ে যান শিক্ষক দীপক কর্মকার। সেখানেই শিশুটির যৌন নির্যাতন হয়। পরে শিশুটি বাড়ি ফিরে যায়। স্কুল থেকে ফেরার পরে ওই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যেরা পুরো ঘটনাটি জানতে পারেন। চার্জশিটে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, শিশুটি সুস্থ হতেই ৯ অক্টোবর সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে যান ছাত্রীর পরিবারের সদস্যেরা। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েক জন প্রতিবেশী। তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা
বলার মধ্যেই ঝামেলা শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ স্কুলে পৌঁছে লেক থানার তদন্তকারীরা শিশুটি এবং তার মাকে থানায় নিয়ে যান। পরে শিশুটির মা লেক থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে মোট ১২ জন সাক্ষীর বক্তব্য রের্কড করা হয়েছে। তাতেই পুরো ঘটনাটি জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের
একাংশ জানিয়েছে, স্কুলের ভিতরে কিছু জায়গায় সিসি ক্যামেরা থাকলেও ঘটনাস্থলের কাছে একটিও ছিল না। তাই সাক্ষীদের বয়ানের উপরেই নির্ভর করতে হয়েছে এই তদন্তে। এ দিন অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy