এই বাড়িতেই খুন হয়েছেন চিকিৎসক চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরী।-নিজস্ব চিত্র।
বেসরকারি সংস্থার অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছিল সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা, চিকিৎসক চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরীর। অথচ, তার পরেও তাঁর মা ও ভাই তাঁকে স্থানীয় কোনও হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে এসএসকেএমে নিয়ে গিয়েছিলেন।
শুধু তা-ই নয়, হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁরা জানিয়েছিলেন, চান্দ্রেয়ীকে অচৈতন্য অবস্থায় বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে তাঁরা উদ্ধার করেন। সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের চিকিৎসক খুনের ঘটনায় ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও মৃতার মা-ভাইয়ের দু’রকম বক্তব্যে পুলিশ আরও ধন্দে। ফলে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরে দু’দিন কেটে গেলেও ওই খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২২ মে ওই চিকিৎসক কী ভাবে খুন হয়েছিলেন, তা জানতে তদন্তকারী অফিসারেরা চান্দ্রেয়ীর ভাই জয় দাসচৌধুরীকে দীর্ঘ জেরা করে চলেছেন। প্রথম দিন থেকেই তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। কিন্তু কী কারণে চান্দ্রেয়ীদেবীকে খুন করা হল, তার কোনও সদুত্তরই এখনও পাননি তদন্তকারীরা।
জেরার পাশাপাশি তদন্তকারীরা বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে মৃতার বাড়ির উল্টো দিকেই ট্র্যাফিক পুলিশের সিসি ক্যামেরার হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই ফুটেজ পাওয়া গেলে ২১ এবং ২২ মে রাতে কারা ওই বাড়িতে যাতায়াত করেছেন, তা জানা সম্ভব হবে। কিন্তু ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, সাধারণত ২০-২১ দিনের ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়। তার আগের কোনও ফুটেজ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ফলে ওই দু’দিনের ফুটেজ হয়তো পাওয়া যাবে না।
পুলিশের দাবি, তাদের তরফে প্রাথমিক ভাবে কোনও গাফিলতি হয়নি। কারণ, গত ২২ মে চান্দ্রেয়ীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর মা ও ভাই জয়। তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে জানান, চান্দ্রেয়ী অচৈতন্য হয়ে ঘরে পড়ে ছিলেন। তখনই চিকিৎসকেরা জানান, ওই যুবতীর ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃত্যু কী ভাবে, তাঁরা তা লেখেননি। ফলে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালে আনার আগে কেউ মারা গেলে যে পদ্ধতি মেনে দেহ ময়না-তদন্তে যায়, চান্দ্রেয়ীর দেহও সে ভাবেই ময়না-তদন্তে এসএসকেএমে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
চান্দ্রেয়ীর ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে সোমবার তাঁর বাড়িতে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু সে নমুনাও এত দিন পরে মেলা সম্ভব নয় বলেই পুলিশের দাবি। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, চান্দ্রেয়ীর মামাকে গাজিয়াবাদ থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। মৃতার আত্মীয়েরা জানান, চান্দ্রেয়ী মারা যাওয়ার ক’দিন পরেই তাঁর মা ও ভাই দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন। পুলিশ অবশ্য এমন কোনও তথ্য পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy