প্রোমোটার শেখর পোদ্দার।—ফাইল চিত্র।
দমদম পার্কে গুলি-কাণ্ডের তিন দিন পরেও অধরা মূল অভিযুক্ত বাবু নায়েক। এমনকি দিনেদুপুরে কোন দুই যুবক প্রোমোটারকে গুলি করে নিশ্চিন্তে পালিয়ে গেল, তা-ও জানাতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ দমদম পার্কের চার নম্বর জলাধারের কাছে নির্মীয়মাণ পাঁচতলা বহুতলের প্রোমোটার শেখর দুই দুষ্কৃতীর হাতে গুলিবিদ্ধ হন। সে সময়ে ঘটনাস্থলেই ছিলেন শেখরের সহযোগী প্রোমোটার চিরদীপ রায়। তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, সম্প্রতি পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রাজেশ নায়েকের ভাই বাবু নায়েক তাঁদের ফোন করে। শনিবার সেই তোলার টাকা নিতেই দুই যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নির্মাণস্থলে এসেছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে একাধিক স্থানীয় দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও ওই দুই যুবক সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় রাজেশ-বাবুর আত্মীয়েরাও রয়েছে বলে খবর। তাদের মধ্যে এক জন আবার অন্য একটি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ভিআইপি যাওয়ার রাস্তায় সেতুর উপরে যে তিনটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তার ফুটেজেও আততায়ীদের বাইকে করে পালিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। কোন পথে আততায়ীরা এলাকা ছাড়ল, সে সম্পর্কেও কোনও স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।
এই পরিস্থিতিতে লিখিত অভিযোগে নাম থাকা বাবুর খোঁজ পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা। হরিজন পল্লিতে বাবুর যে বাড়ি রয়েছে, সেটিতে আপাতত থাকেন এক ভাড়াটে। প্রতি মাসে বাবুর স্ত্রী কলকাতায় এসে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে ভাড়া নিতেন। ওড়িশার যে নম্বর থেকে বাবুর স্ত্রী ভাড়াটেকে ফোন করতেন, সেটি রবিবার দিনভর বন্ধ ছিল। এ দিন যোগাযোগ করা হলে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, ওই নম্বরের কোনও অস্তিত্ব নেই।
ডিসি (সদর) অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘আমরা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছি। এটুকু বলতে পারি, কোনও দুষ্কৃতীকে ছাড়া হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy