— নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনা থেকে চোরা পথে এ দেশে এসে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত দুষ্কৃতীরা। বছরখানেক ধরে এয়ারপোর্টের কাছে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল তারা। দিনের বেলায় ‘ভাল মানুষ’ হলেও রাতের অন্ধকারে শুরু হত তাদের অপারেশন। কলকাতা এবং আশপাশে একাধিক অপারেশনের পর নিউটাউনের নির্মীয়মান মেট্রো প্রকল্পেও হামলা করে তারা।
গত ১৬ অগস্ট রাতে রীতিমতো লরি নিয়ে তারা চড়াও হয়েছিল ইকো পার্কের উল্টোদিকে নির্মীয়মান মেট্রো স্টেশনে। প্রকল্পের নিরাপত্তারক্ষীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বেঁধে রেখে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরনের মালপত্র নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
তদন্তে নেমে প্রথমে হাতিয়ারা এলাকা থেকে রাজা জায়সবাল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজাকে জেরা করে আরও তিনজনকে ধরা হয়। জানা যায়, রাজার মূল কাজ ছিল কোথায় ডাকাতি হবে সেই জায়গা খোঁজা। সেখানকার সমস্ত খবরাখবর নেওয়া। সেই মতো নিউটাউনেও রাজা মেট্রো প্রকল্পের সমস্ত খবরাখবর নেয়,ক’জন নিরাপত্তা রক্ষী থাকেন সেটাও নজর রাখে এবং পুরো অপারেশনের ছক তৈরি করে। তারপর এই বাংলাদেশি দলটিকে খবর দেয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশি ডাকাতদের এই দলটি সে রাতে ডাকাতি করে বেলেঘাটা এবং মানিকতলার দু’টি গোডাউনে ডাকাতির মালপত্র বেচে দেয়।
আরও পড়ুন: জেল থেকেই ‘গেঁদু’র তোলাবাজি! না দেওয়ায় লেকটাউনে তাণ্ডব চালাল
আরও পড়ুন: সুরেন্দ্রনাথে টিএমসিপি-র হাতে বেধড়ক মার খেলেন যাদবপুর-প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা
রাজা এবং তার তিন সঙ্গীকে জেরা করে পুলিশ সোমবার এয়ারপোর্টের কাছে ইটলগাছার ভাড়া বাড়ি থেকে সাত বাংলাদেশি ডাকাতকে গ্রেফতার করে। পাকড়াও করা হয়েছে তাদের অন্য এক সঙ্গী বসিরহাটের রেজাউলগাজিকেও। তদন্তকারীদের দাবি, কলকাতা শহরতলির একাধিক বন্ধ কারখানা থেকে মালপত্র ডাকাতি করত এই গ্যাং। বিধাননগর পুলিশের ডিসি সদর অমিত জাভালগি বলেন,“আমাদের সন্দেহ, এরা জাল ভারতীয় নথি তৈরি করিয়েছিল। কীভাবে রাজার সঙ্গে এই গ্যাং-এর পরিচয় বা যোগাযোগ, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।”
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy