প্রতীকী ছবি
ছেলের আচরণ দেখে ঘরের এক কোনায় দাঁড়িয়ে ভয়ে কাঁপছিলেন বৃদ্ধ। অভিযোগ, মাকে মারধর করছেন ছেলে এবং তাঁর স্ত্রী। ভাঙচুর চালাচ্ছেন রান্নাঘরে। যে কোনও ভাবে খবর পেয়ে ঠিক সেই মুহূর্তেই বাড়িতে পৌঁছেছিল পুলিশ। তবে তাতে দমেননি ছেলে। অভিযোগ, প্রৌঢ়া মাকে উদ্ধার করতে গেলে ছেলের হাতে নিগৃহীত হন পুলিশকর্মীরাই। তার জেরে ওই ব্যক্তিকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্তের নাম গোপাল কর্মকার। তিনি মানিকতলা থানা এলাকার হরিশ নিয়োগী রোডের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে গোপাল তার মাকে মারধর করছেন এমন অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। কিন্তু পুলিশকর্মীদের দেখে গোপাল তাঁদের দিকে তেড়ে যান। অভিযোগ, কেন পারিবারিক বিবাদে পুলিশ এসেছে তা জানতে চেয়ে গোপাল পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু করে দেন। কথা কাটাকাটি চলার সময়েই গোপাল পুলিশকর্মীদের ধাক্কা মারেন। একই সঙ্গে হাতের বালা দিয়ে আঘাত করেন পুলিশকর্মীদের। এমনকি গোপালকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁর স্ত্রী এবং বৌদিও পুলিশকর্মীদের বাধা দেন বলেই অভিযোগ।
গোপালকে এ দিন শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, ওই ঘটনায় অপর দুই অভিযুক্ত হলেন গোপালের স্ত্রী অর্পিতা এবং বৌদি অনামিকা। তাঁদের খোঁজ করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন গোপাল এবং তাঁর স্ত্রী। গোপাল পেশায় গাড়িচালক। অন্য দিকে তাঁর মা অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরেই মা এবং ছেলের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ওই বাড়িতে পৌছে দেখে মাকে মারধরের সঙ্গেই রান্নাঘরে ভাঙচুর করেছে গোপাল। ছেলের তাণ্ডব দেখে ঘরের এক কোণে ভয়ে কাঁপছেন বছর ৬৫-র গোপালের বাবা। পুলিশ দেখেই গোপাল ক্ষেপে যান। কেন তাঁরা এসেছেন জানতে চেয়ে প্রথমে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। তার পরে পুলিশকর্মীদের নিগ্রহ করে। পুলিশের দাবি, ছেলের ওই আচরণ সত্ত্বেও গোপালের বাবা-মা কোনও থানায় অভিযোগ করতে রাজি হননি। কিন্তু নিগৃহীত পুলিশকর্মীরা অভিযোগ দায়ের করলে গোপালকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy