পাঁচ জন যুবক একটি সরকারি বাসের কাচ ভাঙছে। চালককে মারধর করছে। তা দেখেও দৌড়ে পালাচ্ছেন যাত্রীরা। আচমকাই সেখানে উপস্থিত হন ট্র্যাকস্যুট পরা এক ব্যক্তি। এ সবের কারণ জানতে চাইলে যুবকেরা তাঁর দিকেও ধেয়ে আসে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই ব্যক্তি তিন যুবককে ধরে সামনে উপস্থিত কয়েক জনের হাতে তুলে দেন। হিন্দি সিনেমায় যে দৃশ্য বারবার দেখা যায়, শুক্রবার সকালে তেমনই এক দৃশ্য দেখল এক্সাইড মোড়ে উপস্থিত সাধারণ মানুষ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের হাওড়া ব্রিজ ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি রাজকুমার সিংহ। লালবাজার জানিয়েছে, একাই পাঁচ অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছেন ওই ওসি। তাঁর তৎপরতাতেই প্রাণে বেঁচেছেন বাসের চালক রমানন্দ সরকার। ওই বাসের কন্ডাক্টর শঙ্কর দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম সাবির আলম, আফতাব আলম, বিশাল সাউ, রাহুল সিংহ এবং প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। ধৃতদের এ দিন আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক জেল হেফাজত দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে রাজকুমার ময়দানে শারীরচর্চা করতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময়ে তিনি দেখেন, রবীন্দ্রসদন মেট্রো স্টেশনের কাছে ইট দিয়ে একটি সরকারি বাস ভাঙচুর করছে কিছু যুবক। পুলিশের দাবি, রাজকুমার গিয়ে ওই যুবকদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তাঁর সঙ্গেও শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, তিন যুবককে একাই কাবু করে মাটিতে ফেলে দেন রাজকুমার। বাকি দু’জন লুকিয়ে পড়েছিল। পরে ধরা পড়ে তারাও।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সারারাত এক ক্লাবে পার্টি করেছে ওই পাঁচ যুবক। শুক্রবার ভোরে প্রসূনকে হরিদেবপুরের বাসে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো আফতাবের গাড়ি নিয়ে বেরোয় তারা। এক্সাইড মোড়ের কাছে এস নাইন রুটের ওই বাসটি থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বাসটি থামে কিছুটা দূরে গিয়ে। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে শুরু করে তাণ্ডব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy