প্রতীকী ছবি।
শীতলা পুজো চলছে। তাই এক চিকিৎসককে জুতো খুলে রাস্তা পার হওয়ার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, জুতো খুলতে না চাইলে প্রায় এক কিলোমিটার
ঘুরপথে আসতে বলা হয়! শনিবার দুপুরে ল্যান্সডাউন-পদ্মপুকুর এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার মুখে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে এমনটাই হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠায় প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশের ভূমিকা। এ নিয়ে শোরগোল পড়তেই হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন বালিগঞ্জ থানার এক পুলিশকর্মী। বিরক্ত চিকিৎসক বলেন, ‘‘রোগী দেখতে গিয়ে এই হেনস্থার সম্মুখীন হতে হবে ভাবিনি। রাস্তা পেরোতে দেওয়ার অনুরোধ জানানোয় আমায় বলা হয়, প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে। মানতেই হবে।’’
চিকিৎসক জানান, এ দিন বিকেল তিনটে নাগাদ ওই হাসপাতালে যাওয়ার পথে প্রথমে শরৎ বসু রোড এবং হাজরা রোডের মোড়ের অন্য একটি হাসপাতালের সামনে রাস্তা বন্ধ দেখেন। বাধ্য হয়ে হাজরা রোড, টাউনসেন্ড রোড হয়ে চক্রবেড়িয়ার ভিতর দিয়ে তিনি পদ্মপুকুরের কাছে পৌঁছন। কিন্তু পদ্মপুকুর রোড থেকে হাসপাতালের দিকের রাস্তাও ওই সময়ে বন্ধ ছিল। ফলে গাড়ি ছেড়ে হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছবেন বলে ভাবেন ওই চিকিৎসক। তবে তাঁকে রাস্তা পেরোতে দেওয়াই হয়নি বলে অভিযোগ। চিকিৎসকের কথায়, ‘‘এক ট্র্যাফিক সার্জেন্ট বলেন, ওখানে পুজো চলছে। জুতো-মোজা খুলে রাস্তা পেরোতে হবে। জুতো খুলতে না চাইলে প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে আসতে বলা হয়।’’
চিকিৎসক ফের গাড়িতে করে পদ্মপুকুর রোড, ল্যান্সডাউন হয়ে ফিরতে গেলেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকাটি কলকাতা পুলিশের পূর্ব ট্র্যাফিক গার্ডের অন্তর্গত। ওই গার্ডে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, বালিগঞ্জ পেয়ারাবাগান এলাকায় এ দিন একটি পুজো চলছে। পুজোর রীতি মেনে পদ্মপুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের জন্যই বিকেল তিনটে থেকে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত কয়েকটি রাস্তার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘চিকিৎসকের সঙ্গে কোনও পুলিশ এমন ব্যবহার করতে পারেন না। অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে।’’
এর পরেই অবশ্য বালিগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে। চিকিৎসক বলেন, ‘‘পুলিশ এসে দুঃখপ্রকাশ করে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy