Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

কার্ফু না-মেনে রাস্তায় কেন গাড়ি, এসএমএস পাঠাচ্ছে পুলিশ  

লালবাজার সূত্রের খবর, লকডাউন অমান্য করার স্বপক্ষে কোনও নথি বা তথ্য থাকলে তা পাঠিয়ে দিতে বলা হচ্ছে গাড়ির মালিককে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০২:৪৩
Share: Save:

জরুরি প্রয়োজনে রাতে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এক বাসিন্দা। পরের দিন তিনি একটি এসএমএস পেলেন মোবাইলে। যেখানে কলকাতা পুলিশ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছে নৈশ কার্ফু না মেনে কেন তিনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। ইমেল মারফত েসই উত্তর উত্তর কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশকে পাঠাতে বলা হয়েছে।

লালবাজার সূত্রের খবর, লকডাউন অমান্য করার স্বপক্ষে কোনও নথি বা তথ্য থাকলে তা পাঠিয়ে দিতে বলা হচ্ছে গাড়ির মালিককে। সেই নথি এবং তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না। লকডাউনের ওই সময়ে রাস্তায় বার হওয়ার কারণ দর্শাতে বলা হচ্ছে গাড়ির মালিক বা চালকদের।

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত সপ্তাহ থেকে ওই ব্যবস্থা চালু হয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ২৫টি গার্ডে।

লকডাউন অমান্য করে সন্ধ্যা সাতটার পরে কেউ গাড়ি নিয়ে বেরোলে সেই গাড়ির নম্বর লিখে রাখছেন রাস্তায় ডিউটিতে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা। কিছু জায়গায় পুলিশকর্মীরা আবার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গাড়ির ছবি তাঁদের মোবাইলে তুলে রাখছেন প্রমাণ হিসেবে। পরের দিন ওই লকডাউন অমান্যকারী গাড়ির নম্বরের তালিকা তৈরি করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে লালবাজারের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে। সেখানে গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে মালিকের ফোনে পাঠানো হচ্ছে এসএমএস। যাতে নৈশ কার্ফু অমান্য করে রাতের শহরে রাস্তায় বার হওয়ার কারণ দর্শাতে বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিধাননগরে করোনা পজ়িটিভ আরও দুই

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যবস্থায় কোনও গাড়ি সন্ধ্যা সাতটার পরে বাইরে বেরিয়ে আইন ভাঙলে রাস্তায় থাকা ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা নিজেরা সরাসরি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। কোনও গাড়ি ট্র্যাফিক আইন অমান্য করে থাকলে, তার বিরুদ্ধে মোটরযান আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে লকডাউন অমান্যকারীর গাড়ির ছবি তুলে বা নম্বর লিখে রাখছেন পুলিশকর্মীরা।

ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের মতে, দিনের বেলায় বেসরকারি বাস ছাড়া সব গাড়ি রাস্তায় নামছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী রবিবার পর্যন্ত সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল সাতটা নৈশ কার্ফু চলেছে। ওই সময়ে বিনা কারণে কেউ গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন কি না, তা দেখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমপানের পরে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার বাতিস্তম্ভ খারাপ হয়ে গিয়েছে। আবার ট্র্যাফিক সিগন্যাল পোস্টও খারাপ হয়েছে। তাই লালবাজার থেকে বলা হয়েছে রাতের ফাঁকা রাস্তায় যে সব গাড়ি চলছে, তাদের নম্বর লিখে রেখে বা ছবি তুলে তা জানিয়ে দিতে।

পুলিশকর্মীদের মতে, এতে অচেনা কারও সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে না। আবার কার্ফু অমান্যকারীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে।

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ট্র্যাফিক পুলিশের প্রায় হাজারখানেক সিসি ক্যামেরা বিকল হয়েছিল ঝড়ের জন্য। তার মধ্যে অধিকাংশই সারিয়ে করে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৬০০টি সিগন্যাল পোস্টের অর্ধেকের বেশি ঠিক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE