Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Death

ফ্ল্যাটে দুষ্কৃতী ঢুকল কী ভাবে, তলব মালিককে

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম শেখ ইয়াসিন। তাঁর স্ত্রী পায়েল খাতুন মালদহ জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ।

এই আবাসন থেকেই ঝাঁপ দেন আব্দুল হুসেন ওরফে সেন্টিয়া।

এই আবাসন থেকেই ঝাঁপ দেন আব্দুল হুসেন ওরফে সেন্টিয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৪২
Share: Save:

শনিবার গভীর রাতে চিৎপুর থানা এলাকার পাইকপাড়ায় একটি বহুতল আবাসনের নীচে পাওয়া গিয়েছিল এক ব্যক্তির দেহ। পরে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল হোসেন ওরফে সেন্টিয়া। সে হুগলির এক দাগি দুষ্কৃতী। ওই আবাসনের চারতলায় এসে কী ভাবে এবং কেন সে আশ্রয় নিয়েছিল, তা জানতে সেই ফ্ল্যাটের মালিককে তলব করল চিৎপুর থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম শেখ ইয়াসিন। তাঁর স্ত্রী পায়েল খাতুন মালদহ জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। গত শনিবার গভীর রাতে চিৎপুর থানার গোপাল মুখার্জি রোডের ওই আবাসনে ব্যাপক গন্ডগোল শুনতে পান আবাসিকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আবাসনের নীচে এক জনকে অন্য জনের দিকে ভাঙা কাচের বোতল নিয়ে তেড়ে যেতেও দেখা যায়। খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ এসে দেখে, আবাসনের নীচে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সেন্টিয়া হুগলির কুখ্যাত এবং দাগি দুষ্কৃতী। পুলিশের খাতায় তার বিরুদ্ধে একাধিক খুন এবং তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছিল। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই দুষ্কৃতী এসেছিল শেখ ইয়াসিনের ফ্ল্যাটে। কিন্তু কেন সে এসেছিল, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। শুধু তা-ই নয়, সেই রাতে ওই ফ্ল্যাটে দুই মহিলা ছাড়াও কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল এবং ফ্ল্যাটমালিকের পরিচিত দু’জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই দুই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের কর্মী-সহ দু’জনকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হলে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

শেখ ইয়াসিন ফোনে বললেন, ‘‘আমি গত শনিবার সকালেই অজমের রওনা দিই। রাত ১২টা নাগাদ পুলিশ ফোনে আমাকে ঘটনার কথা জানায়। ফ্ল্যাটের মূল চাবি আমার কাছেই আছে। ওরা কী ভাবে ফ্ল্যাট খুলল, বুঝতে পারছি না। তা ছাড়া, সেন্টিয়া নামের যে দুষ্কৃতীর সঙ্গে আমার যোগসাজশের কথা বলা হচ্ছে, তা পুরো মিথ্যে।’’

ইয়াসিন আরও বলেন, ‘‘আমি এখন রাজ্যের বাইরে। চিৎপুর থানার পুলিশ আমাকে থানায় যেতে বলেছে। আমি শিগগিরই পুলিশের সঙ্গে দেখা করব।’’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে মালদহ জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পায়েল খাতুন বলেন, ‘‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। যা বলার আমার স্বামী বলবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Crime Criminal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE