প্রতীকী চিত্র।
যোধপুর পার্কের বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষকে খুনের ঘটনায় ওই আবাসনের মালি স্বপন মণ্ডল এবং নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জীব দাসকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের আধিকারিকদের অনুমান, খুনের পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীদের আরও ধারণা, সেই ষড়যন্ত্রকারী শ্যামলীদেবীরই প্রতিবেশী।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোনও প্রতিবেশী কেন ওই বৃদ্ধাকে খুন করার ষড়যন্ত্র করবেন?
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে পেরেছেন লেক থানার অন্তর্গত ১৪১ যোধপুর পার্কের পাঁচতলা আবাসনের চারতলার যে ফ্ল্যাটে শ্যামলীদেবী থাকতেন, সেটি হাতানোর জন্যই খুনের ছক কষা হয়েছিল। আবাসনের মালি এবং নিরাপত্তারক্ষীকে সেই খুনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এখানেই উঠছে দ্বিতীয় প্রশ্ন। তা হল, শ্যামলীদেবীকে খুন করার জন্য আবাসনের মালি এবং নিরাপত্তারক্ষীকে কে ভাড়া করেছিলেন?
তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনের পিছনে এমন কোনও মাথা রয়েছে, যার ওই ফ্ল্যাটটির উপরে নজর রয়েছে। কারণ, ফ্ল্যাটটিতে শ্যামলীদেবী থাকলেও সেটি তাঁর বাবা কে কে ঘোষের নামে। ফলে ফ্ল্যাটের আর এক ভাগীদার শ্যামলীদেবীর বোন দীপালি মিত্র। সে ক্ষেত্রে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করতে গেলে তাঁরও অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু দীপালিদেবী ফ্ল্যাট বিক্রি করতে রাজি ছিলেন কি না, সেই উত্তরও খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক ভাবে গোয়েন্দারা আরও জেনেছেন, বাবা-মায়ের দেখাশোনা করার জন্যই বিয়ে করেননি শ্যামলীদেবী। মা-বাবার মৃত্যুর পরেও তিনি তাঁদের স্মৃতি ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাননি। আর সে কারণে তাঁর উপরে চাপ আসছিল ওই ফ্ল্যাট বিক্রি করার। বৃদ্ধার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া একটি ডায়েরিতেও সেই কথা লেখা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
প্রশ্ন উঠেছে, এই সব বিষয়গুলি কি শ্যামলীদেবী তাঁর বোনকে জানিয়েছিলেন? কারণ দিদির দেহ উদ্ধারের পর থেকেই দীপালিদেবী জানিয়ে এসেছেন, তিনি ফ্ল্যাটের বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
তা হলে কে নিয়োগ করেছিলেন স্বপন এবং সঞ্জীবকে, আপাতত সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
ধৃত দু’জনকে রবিবার আদালতে তোলা হলে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy