প্রতীকী ছবি।
এন্টালিতে বধূর মৃত্যু রহস্য সমাধানে পুলিশের নজরে এ বার এক চিকিৎসক।
পুলিশ সূত্রের খবর, শ্বশুরবাড়ির কথামতো ২০০ টাকার বিনিময়ে ওই চিকিৎসক মৃতার ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ তৈরি করে দিয়েছিলেন। পুলিশে না জানিয়ে তিনি কেন এ কাজ করেছেন, বৃহস্পতিবার দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে তা ওই চিকিৎসকের কাছে জানতে চেয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, ভয় পেয়ে গিয়ে তাঁরা ওই চিকিৎসককে দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। এই কথার সত্যতা যাচাই করে দেখবে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে এন্টালির বিবিবাগান লেনের শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু হয় রাবিয়া খাতুনের (১৯)। রাবিয়াকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবেশীরা। রাবিয়ার বাপের বাড়ি বিহারে।
সোমবার শহরে এসে থানায় মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন রাবিয়ার পরিজনেরা। গ্রেফতার হন রাবিয়ার স্বামী মহম্মদ ফৈয়াজউদ্দিন এবং শ্বশুর মহম্মদ গোলাম রসুল।
বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ জানিয়েছিল, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে রাবিয়ার। পরে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে পুলিশ জানায়, রাবিয়ার গলায় ফাঁসের চিহ্ন মিলেছে। ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছিলেন, রাবিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সব দেখে পুলিশেরও ধারণা, রাবিয়া আত্মহত্যাই করেছেন। পুলিশের দাবি, পণের জন্য রাবিয়াকে চাপ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ধৃতেরা। তাই আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারা যুক্ত করার কথা ভাবছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রাবিয়ার স্বামী ফৈয়াজউদ্দিন জেরায় জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি শহরে ছিলেন না। বাড়িতে ঝগড়া হয়েছিল। এর পরেই আত্মহত্যা করেন রাবিয়া। ভয় পেয়ে রসুল ওই চিকিৎসককে ডেকে এনে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ করান। রসুল পুলিশকে জানিয়েছেন, পণের জন্য যে চাপ দেওয়া হত, তা প্রকাশ্যে আসার ভয়ে তাঁরা চিকিৎসককে ডেকে বিষয়টি মেটাতে চেয়েছিলেন।
গত এপ্রিলে কাকার মেয়ে রাবিয়াকে বিয়ে করেন ফৈয়াজউদ্দিন। বোনকে শহর ঘোরানোর নাম করে এনে বিয়ে করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রাবিয়ার বাবা মহম্মদ জায়েদ হুসেনের। এ দিন তিনি ফের বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে ওরা জোর করে বিয়ে দিয়েছিল। ওরাই মারধর করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy