শহরের আবর্জনা মিশে দূষিত হচ্ছে টালিনালা। —ফাইল চিত্র
টালিনালার দূষণ ঠেকাতে কোমর বেঁধেছে পুলিশ। এই অভিযানে একা নয়, আমজনতাকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে চাইছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, টালিনালায় প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন ধরনের দূষণ আটকাতে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার বাসিন্দাদের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশ ও জনতা মিলে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনাচক্রেরও। থানা থেকে টালিনালাকে ‘বাঁচাতে’ বিভিন্ন বোর্ড লাগানো হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যবহারে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞাও।
টালিনালার প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ রয়েছে রিজেন্ট পার্ক থানার আওতায়। ফি বছর বর্ষায় প্লাস্টিক আটকে গিয়ে ওই এলাকায় বিভিন্ন নিকাশি নালার জল ছড়িয়ে পড়ে। সেই জল সহজে নামতেও চায় না। পরিবেশকর্মী থেকে পুরসভার আধিকারিক সকলেরই বক্তব্য, জঞ্জাল ফেলে টালিনালা অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। গভীরতাও কমেছে। তার ফলেই এই জল-যন্ত্রণা। জাতীয় পরিবেশ আদালতে আদিগঙ্গার মামলাতেও এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকার জল-যন্ত্রণা সমাধানের কথা ভেবেই এগিয়ে এসেছে রিজেন্ট পার্ক থানা। সেই সূত্রেই টালিনালা বাঁচানোর কথা মাথায় আসে পুলিশকর্তাদের। সম্প্রতি তা নিয়ে এক আলোচনাচক্রে থানার অতিরিক্ত ওসি অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এলাকাবাসীকে বলেন, প্লাস্টিক জমেই এই হাল। তাই টালিনালাকে বাঁচাতে বাসিন্দাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সাড়া দেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিপ্লব ঘোষ নামে এক বাসিন্দা সভায় জানান, সচেতনতার জন্য প্রচার চালাবেন তাঁরা। ঢালিপাড়ার একটি ক্লাবের সম্পাদক শুভাশিস দত্ত বলেন, ‘‘পরিবেশ ও টালিনালা বাঁচাতে শিশু-কিশোরদেরও সঙ্গে নিয়ে এগোনোর কথা ভাবছি আমরা।’’
পুলিশের এই ধরনের কাজে অভিনবত্ব দেখছেন পরিবেশবিদেরা। তাঁদেরই এক জন স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশের হাজারো কাজের মাঝে এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। পুলিশকে দেখে বাকি সরকারি দফতরও এগিয়ে আসতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy